সুনামগঞ্জের ছাতকে সড়ক দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকা পড়লো সরকারি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স। গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত্রে শহরের লাল মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ১৪ এপ্রিল সকালে আহতদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাত্রে ছাতক – গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সুলেমান কমিউনিটি সেন্টারের পাশে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় আহতদেরকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার করে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে রোগীর আত্মীয়ের কাছ থেকে ২ হাজার ১শ টাকা নিয়ে সরকারি এম্বুল্যান্স করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে লাল মসজিদের সামনে এসে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ হয়ে যায় পরে স্থানীয়রা ধাক্কা দিয়ে চালু করে অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে কারণে এমনটা হয়েছে। ত্রুটি যুক্ত গাড়িতে রোগী বহন না করলেই হতো এমন মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা। গত ১৪ এপ্রিল সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌর সভার নোয়ারাই-সিমেন্ট কারখানার মসজিদ টিলা এলাকার শফিকুল ইসলাম ঢালাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন মারা যান এবং নোয়ারাই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে দিপুর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মিন্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাল মসজিদের সামনে গাড়ির এসি পাম্প ফেইল করছিলো। গাড়ীর সমস্যার জন্য আমি রোগী নিতে চাই নি। রোগীর আত্মীয়রা রিক্স নিয়ে আমাকে জুর করে নিয়ে গেছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, রোগী তোলার সময় মেডিকেলে ভাড়া বাবদ ২ হাজার ও গাড়ী ধোঁয়া বাবদ ১শ টাকা নিয়েছি। আজ (১৪ এপ্রিল) সকালে গাড়ির সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাড়ি একটি যন্ত্র। এটা যেকোনও সময় নষ্ট হতে পারে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। গাড়িতে ত্রুটি থাকার পরও ড্রাইভার কেনও রোগীবহন করেছে এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা করবো।