Sylhet ০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে সীমান্তে বিজিবি’র নাকের ডগায় মৌলা নদীতে লুট হচ্ছে বালু, দেখার কেউ নেই 

oplus_0

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে বিজিবি’র নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে মৌলা নদীতে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। প্রতিদিন ভোর হতে মধ্যরাত অবধি ওই নদী হতে বালু উত্তোলন করে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকার একটি চিহ্নিত বালিখেকো সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে বালি উত্তোলন এবং বিক্রি করে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। এতে পাহাড়ি ওই নদীর নাব্যতা সংকটসহ নদীর উভয় তীরের বসতিসহ স্লুইসগেটের ভাঙন ঝুঁকি আরও তীব্র হচ্ছে। নিয়মিত বালির গাড়ি আসা যাওয়ার কারণে রাস্তাঘাটের এখন বেহালবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মৌলা নদীতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত  ট্রাক, ট্রলি আসা যাওয়ার শব্দে ঘুমানো যায় না। ধুলো বালিতে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের অবস্থা এখন বেহাল। আমাদের দুরাবস্থা দেখার কেউ নেই।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায় বাঁশতলা (হকনগর) বিজিবি ক্যাম্পের মাত্র কয়েক শ’ গজের মধ্যে হকনগর বাজারের পূর্ব দিকে আলাউদ্দিনের বাড়ির নিকটে মৌলা নদী হতে কয়েকটি ট্রাক ও ট্রলি বোঝাই করে বালি নেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। নদীতে হতে হকনগর বাজার পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের রাস্তা করে অবাধে লুট হয় বালু।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ  বালু ও পাথর লুটপাটকারী
স্থানীয় একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরেই মৌলা নদী হতে অবাধে উত্তোলন করছে বালি। দেখার কেউ নেই। এভাবে বালি উত্তোলন করায় দুই তীরের বসত বাড়িসহ হকনগর স্লুইসগেটিও রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। এছাড়া ইদানিং হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধে পাথর  লুটপাটসহ শহিদ স্মৃতিসৌধ এলাকার সরকারি ভূমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দালানকোঠা ও কয়েকটি বসতঘর। এভাবে সরকারি ভূমি দখল করে স্থানীয় হকনগর বাজারে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই।
জানতে চাইলে বালি ও পাথর ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, তারা সংশ্লিষ্ট  প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মৌলা নদী হতে বালু উত্তোলন করে সরকারি কাজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন। এতে এলাকার দরিদ্র মানুষেরও কর্মসংস্থানের উপায় হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাঁশতলা (হকনগর) বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ওমর আলী বলেছেন, বালি উত্তোলনের বিষয়টি মূলত দেখবাল করেন স্থানীয় ভূমি অফিস সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বালি উত্তোলনে আমরা সবসময় বাধা নিষেধ করে আসছি, তবুও একশ্রেণির অসাধু চক্র ওই নদী হতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুশান্ত সিংহ বলেছেন, মৌলা নদীতে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শীগ্রই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জনপ্রিয় সংবাদ

দোয়ারাবাজারে সীমান্তে বিজিবি’র নাকের ডগায় মৌলা নদীতে লুট হচ্ছে বালু, দেখার কেউ নেই 

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে বিজিবি’র নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে মৌলা নদীতে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। প্রতিদিন ভোর হতে মধ্যরাত অবধি ওই নদী হতে বালু উত্তোলন করে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকার একটি চিহ্নিত বালিখেকো সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে বালি উত্তোলন এবং বিক্রি করে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। এতে পাহাড়ি ওই নদীর নাব্যতা সংকটসহ নদীর উভয় তীরের বসতিসহ স্লুইসগেটের ভাঙন ঝুঁকি আরও তীব্র হচ্ছে। নিয়মিত বালির গাড়ি আসা যাওয়ার কারণে রাস্তাঘাটের এখন বেহালবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মৌলা নদীতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত  ট্রাক, ট্রলি আসা যাওয়ার শব্দে ঘুমানো যায় না। ধুলো বালিতে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের অবস্থা এখন বেহাল। আমাদের দুরাবস্থা দেখার কেউ নেই।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায় বাঁশতলা (হকনগর) বিজিবি ক্যাম্পের মাত্র কয়েক শ’ গজের মধ্যে হকনগর বাজারের পূর্ব দিকে আলাউদ্দিনের বাড়ির নিকটে মৌলা নদী হতে কয়েকটি ট্রাক ও ট্রলি বোঝাই করে বালি নেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। নদীতে হতে হকনগর বাজার পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের রাস্তা করে অবাধে লুট হয় বালু।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ  বালু ও পাথর লুটপাটকারী
স্থানীয় একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরেই মৌলা নদী হতে অবাধে উত্তোলন করছে বালি। দেখার কেউ নেই। এভাবে বালি উত্তোলন করায় দুই তীরের বসত বাড়িসহ হকনগর স্লুইসগেটিও রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। এছাড়া ইদানিং হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধে পাথর  লুটপাটসহ শহিদ স্মৃতিসৌধ এলাকার সরকারি ভূমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দালানকোঠা ও কয়েকটি বসতঘর। এভাবে সরকারি ভূমি দখল করে স্থানীয় হকনগর বাজারে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই।
জানতে চাইলে বালি ও পাথর ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, তারা সংশ্লিষ্ট  প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মৌলা নদী হতে বালু উত্তোলন করে সরকারি কাজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন। এতে এলাকার দরিদ্র মানুষেরও কর্মসংস্থানের উপায় হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাঁশতলা (হকনগর) বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ওমর আলী বলেছেন, বালি উত্তোলনের বিষয়টি মূলত দেখবাল করেন স্থানীয় ভূমি অফিস সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বালি উত্তোলনে আমরা সবসময় বাধা নিষেধ করে আসছি, তবুও একশ্রেণির অসাধু চক্র ওই নদী হতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুশান্ত সিংহ বলেছেন, মৌলা নদীতে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শীগ্রই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।