রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে একটি বাসায় ঢুকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ানের (র্যাবে) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ জন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) গ্রেপ্তার করছে তিনজনকে। র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহার করা মাইক্রোবাসও।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ের কাছে ব্যবসায়ী আবু বকরের বাড়িতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঢুকে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। পরে শনিবার রাতে ব্যবসায়ী আবু বকর এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। এরপরই অভিযান শুরু হয়।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে তিনজন বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ এবং পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত।’
ব্যবহার করা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘খোয়া যাওয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা ও কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
র্যাবের কেউ জড়িত কিনা এমন প্রশ্নে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যাচাইবাছাই করছি। আমাদের কেউ জড়িত থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার বলেন, মুখে মাস্ক লাগিয়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে আসা লোকজনকে দেখে দারোয়ান গেট খুলে দেয়। এরপর তারা তিনতলায় আবু বকরের ফ্ল্যাটে যায়। র্যাবের জ্যাকেট পরা ও সাদা পোশাকের লোকজনও ছিল তাদের সঙ্গে।
ওসি বলেন, সেনাবাহিনীর পোশাক পরা যে কয়জন এসেছিল, তারা এমনভাবে এসেছিল যে বোঝার উপায় নেই তারা সেনাবাহিনীর সদস্য নয়। হেলমেটটা দেখেও সন্দেহ করার উপায় নেই।