দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা বিএনএমে যোগ দেওয়া সংক্রান্ত একটি খবর সামনে আসার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা সমালোচনা চলছে। এক কথায় এ ইস্যুটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে রুমিন ফারহানা বলেন, সব নোংরা কাজের সঙ্গেই সাকিবের নাম চলে আসে।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ক্রিকেটের জালিয়াতি বলেন, ক্যাসিনো বলেন, এই ধরনের যেকোনো নোংরা কাজের সঙ্গে এই ভ্রদ্রলোকের নাম চলে আসে। তিনি খেলেন ক্রিকেট কিন্তু তার লোভাতুর চোখ থাকে সংসদের দিকে। বড় বড় ম্যাচগুলোতে হেরে ভূত হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন; কিন্তু তিনি আবার চান স্বাস্থ্য, শিক্ষা এ ধরনের একটা মন্ত্রণালয় যেন তাকে দেওয়া হয়। আপাদমস্তক একজন লোভী, একজন টাউট বলতে যা বোঝায়।
তিনি একবার বিএনএমের দিকে ঝুঁকবেন, যেকোনোভাবে তাকে সংসদে ঢুকতে হবে। আওয়ামী লীগের যে দেউলিয়াত্ব দেখছি, তিনি মন্ত্রী হলেও অবাক হবো না।
তিনি বলেন, রাজনীতির ব্যাপারে ন্যূনতম আইডিয়াও এই ছেলেটার নাই। কিন্তু তাকে রাজনীতি করতে হবে। মানে এমপি হতে হবে। রাজনীতিতে সাকিবের মতো টাউট লোক নেই।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, শেয়ার কেলেঙ্কারিতে সাকিবের নাম, সম্প্রতি তার বোনের নামও আসছে। পারিবারিকভাবে কেলেঙ্কারিতে তারা যুক্ত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে, বিএনএম গঠন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সাকিব আল হাসান সেই দলে যোগ দিয়েছিলেন।