সিলেটের গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব কমিটি নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এহেন অভিযোগ এনে সদ্য সমাপ্ত গোয়াইনঘাট নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল এবং পুন:নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী আবুল।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত ভাবে এ দাবি জানান সাংবাদিক মোঃ আবুল হোসেন। আবুল হোসেন ওই প্রেসক্লাব’র সদস্য এবং এ নির্বাচনে (ল্যাপটপ প্রতীকে) সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন।
লিখত অভিযোগে আবুল হোসেন বলেন- তার নির্বাচনী এজেন্ট তাকে অনিয়ম-কারচুপির কথা জানালে তিনি নির্বাচন কমিশনারকে ভোট গ্রহন বন্ধ করে নির্বাচন ও ভোট গ্রহনের সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহন স্থগিত না করে তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু লিখত অভিযোগ দাখিলের আগেই নির্বাচন কমিশনার ভোটগ্রহন সম্পন্ন করে ফেলেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আবুল হেসেন তাৎক্ষণিক নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভোট কেন্দ্র থেকে সরে যান। অভিযোগে সভাপতিপদে মনজুর আহমদকে এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষক দাবি করে তিনি বলেন- সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য হয়ে নির্বাচন করার আইনী বৈধতা তার নেই। তা সত্বেও মনজুর আহমদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় ইউপির সরকারী এক কর্মচারী বেআইনীভাবে প্রেসক্লাবের ভোটার সদস্য হয়ে নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। স্থানীয় যুবলীগের এক পলাতক আসামীকে ডেকে এনে তার ভোট গ্রহন করা হয়েছে। তাই তিনি অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল না করলে তিনি যথাযথ আদালতের আশ্রয় নেবেন বলেও জানিয়েছেন।