Sylhet ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হয়রানি মামলা প্রত্যাহারে কমিটি

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৯

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতিও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে। জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সদস্য হিসাবে আছেন পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)। কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে। আবেদনপ্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরের (ক্ষেত্রবিশেষ মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) কাছে মতামতের জন্য পাঠাবেন। আবেদনপ্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্রবিশেষ মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠাবেন। পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত সংগ্রহের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন। জেলা কমিটির কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদনপ্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।

এদিকে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিটির সভাপতি হলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। কমিটির সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্মসচিব (আইন); আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পর্যায়ের নিচে নন)। এছাড়া সদস্য সচিব হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব (আইন-১ শাখা)।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি : জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর আওতাধীন মামলাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো ‘দ্য ক্রিমিনাল ল এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮-এর ১০(৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। মামলার বিষয়ে করণীয় পরে নির্ধারণ করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

নিরীহ কারও নামে মামলা হলে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার: আইজিপি

হয়রানি মামলা প্রত্যাহারে কমিটি

প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতিও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে। জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সদস্য হিসাবে আছেন পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)। কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে। আবেদনপ্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরের (ক্ষেত্রবিশেষ মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) কাছে মতামতের জন্য পাঠাবেন। আবেদনপ্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্রবিশেষ মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠাবেন। পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত সংগ্রহের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন। জেলা কমিটির কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদনপ্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।

এদিকে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিটির সভাপতি হলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। কমিটির সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্মসচিব (আইন); আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পর্যায়ের নিচে নন)। এছাড়া সদস্য সচিব হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব (আইন-১ শাখা)।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি : জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর আওতাধীন মামলাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো ‘দ্য ক্রিমিনাল ল এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮-এর ১০(৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। মামলার বিষয়ে করণীয় পরে নির্ধারণ করা হবে।