Sylhet ০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অভিযোগ করে দৌলতপুর এলাকার কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিই। সেই ঋণের প্রতি সপ্তাহের কিস্তি ২৫০০ টাকা। এরমধ্যে ১৩টি কিস্তি দিয়েছি। হঠাৎ দেশের পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি দিতে বিলম্ব হচ্ছিল। যার জন্য ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম আমার বাড়িতে এসে গোয়ালঘর থেকে একটি গরু (গাভি)  ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ সময় গরুটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা আমার কোনো কথা শোনেননি। আমি অসহায় মানুষ। আর বিপদের কারণে টাকা দিতে পারছি না। তাই তাদেরকে বলেছি সমিতির টাকা শিগগিরই পরিশোধ করে দেব। তবুও তারা গরুটি নিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে গরু ছিনিয়ে নেয়া অমানবিক কাজ। তারা কিস্তি আদায় না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন। এমন অমানবিক কাজের জন্য আমিও এনজিওটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

গরু ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম জানান, এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছেন কুলসুম বেগম। এরপর ঋণ খেলাপি করছেন তিনি। তাকে সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলেছি। তিনি টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে এসেছি।

ওই এনজিওর ম্যানেজার মো. শামীম জানান, কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু আনা হয়েছে। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি সাঈদ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অভিযোগ করে দৌলতপুর এলাকার কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিই। সেই ঋণের প্রতি সপ্তাহের কিস্তি ২৫০০ টাকা। এরমধ্যে ১৩টি কিস্তি দিয়েছি। হঠাৎ দেশের পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি দিতে বিলম্ব হচ্ছিল। যার জন্য ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম আমার বাড়িতে এসে গোয়ালঘর থেকে একটি গরু (গাভি)  ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ সময় গরুটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা আমার কোনো কথা শোনেননি। আমি অসহায় মানুষ। আর বিপদের কারণে টাকা দিতে পারছি না। তাই তাদেরকে বলেছি সমিতির টাকা শিগগিরই পরিশোধ করে দেব। তবুও তারা গরুটি নিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে গরু ছিনিয়ে নেয়া অমানবিক কাজ। তারা কিস্তি আদায় না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন। এমন অমানবিক কাজের জন্য আমিও এনজিওটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

গরু ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম জানান, এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছেন কুলসুম বেগম। এরপর ঋণ খেলাপি করছেন তিনি। তাকে সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলেছি। তিনি টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে এসেছি।

ওই এনজিওর ম্যানেজার মো. শামীম জানান, কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু আনা হয়েছে। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি সাঈদ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।