Sylhet ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি রতনসহ ১৮ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর) আসনে তৎকালীন সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই রোকনসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রতনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকন ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

রোববার উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নূর জামাল বাদি হয়ে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নূর জামাল বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর আব্দুল মোতালেব খানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে আসামিরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের প্রতীকে জোরপূর্বক জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ওই সময় নূর জামালসহ স্থানীয়রা জালভোট প্রদানে বাঁধা দিলে এরই জের ধরে পরবর্তী ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সাবেক এমপি রতনের হুকুমে তারই লালিত লোকজন ইউনিয়নের মহিষাখালী বাজার থেকে নূরজামাল ও তার ছেলে নূরুল হুদাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।  পরে সেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাপ-ছেলে দুজনকে আটকে রেখে বেধরকভাবে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

ওই সময় নূরজামাল ও নূরুল হুদার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার রাতে মামলার বাদি নূর জামাল বলেন, ওই সময়ই থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু তৎকালীন সময়ে থাকা থানার ওসি ও কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার মামলা নেননি।

তাছাড়া মামলা করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুমের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভয়ে আর আইনি পদক্ষেপ নেইনি। আদালতে মামলা করতে পেরে এখন ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা রাখি।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল  বলেন, আদালতের বিচারক  মামলাটি আমলে নিয়ে  তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যূরো অব ইনভেষ্টিকেশান (পিবিআই) কে আদেশ দিয়েছেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি রতনসহ ১৮ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর) আসনে তৎকালীন সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই রোকনসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রতনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকন ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

রোববার উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নূর জামাল বাদি হয়ে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নূর জামাল বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর আব্দুল মোতালেব খানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে আসামিরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের প্রতীকে জোরপূর্বক জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ওই সময় নূর জামালসহ স্থানীয়রা জালভোট প্রদানে বাঁধা দিলে এরই জের ধরে পরবর্তী ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সাবেক এমপি রতনের হুকুমে তারই লালিত লোকজন ইউনিয়নের মহিষাখালী বাজার থেকে নূরজামাল ও তার ছেলে নূরুল হুদাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।  পরে সেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাপ-ছেলে দুজনকে আটকে রেখে বেধরকভাবে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

ওই সময় নূরজামাল ও নূরুল হুদার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার রাতে মামলার বাদি নূর জামাল বলেন, ওই সময়ই থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু তৎকালীন সময়ে থাকা থানার ওসি ও কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার মামলা নেননি।

তাছাড়া মামলা করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুমের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভয়ে আর আইনি পদক্ষেপ নেইনি। আদালতে মামলা করতে পেরে এখন ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা রাখি।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল  বলেন, আদালতের বিচারক  মামলাটি আমলে নিয়ে  তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যূরো অব ইনভেষ্টিকেশান (পিবিআই) কে আদেশ দিয়েছেন।