ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।
গত ৪ আগস্ট বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইমন গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইমন চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। পিতার মৃত্যুর পর সংসার চালানো ও নিজের লেখাপড়া এবং ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়ার খরচ বহনের দায়িত্ব পরে তার ওপর। প্রাইভেট পড়িয়ে এই খরচ মেটাতে হতো ইমনকে।
আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী ও পরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার সকালে ইমন মারা যায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।