এ হিসেবে ১০-১১-১২ (বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার) ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। পরদিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এরপরের দিন ১৪ এপ্রিল (রোববার) নববর্ষের ছুটি। সে হিসেবে এবারের ঈদে অন্তত ৫ দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
তবে, ২৯ রমজান ধরে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) যদি ছুটি ঘোষণা করা হয় সেক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ছয়দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর ঈদের আগে আগে ছুটির একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। মন্ত্রিসভা থেকে সেই তালিকা অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর এখনো তালিকা পাঠানো হয়নি, তবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ঈদুল ফিতর নির্ধারিত হয় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশে এই কাজের জন্য রয়েছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আ. হামিদ জমাদ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আমরা এখনো কোনো বৈঠক করিনি। আমরা সাধারণত ২৯ রোজায় বৈঠকে বসি এবং তারপর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাই।
এদিকে, ঈদ সামনে রেখে আগামী ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি হলেও এবার ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। অর্থাৎ টিকিট বিক্রি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আর আগামী ৪ এপ্রিল শুরু হবে অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি। চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।