শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান গেটে সহিংসতার ঘটনায় আটক ৩৮ শিক্ষার্থীকে বিস্ফোরক মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে এদিন সকালে তাদের মহানগর হাকিম চতুর্থ আদালতের বিচারক উম্মে হাবিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তাদের ওই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ও জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কুমারগাও বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি অটোরিক্সায় অগ্নিসংযোগ ও জ্বালাও পোড়াওয়ের অভিযোগ এনেছে।
শুনানীতে মহানগর পিপি এডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী অংশ নেন। তিনি জানান, গত ১৯ জুলাই তাদের জিডি মূলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত শুক্রবারের (১৯ জুলাই) সহিংসতার ঘটনায় শনিবার (২০ জুলাই) অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় এই মামলটি করে পুলিশ। ওই ৩৮ শিক্ষার্থীকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে কারাগারে রাখা হয়। তাদের বেশিরভাগই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে সূত্র জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের কোর্টে তোলা হয় বলে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান।
এদিকে, জালালাবাদ থানায় এখন পর্যন্ত মোট ৪টি মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শাবির গেটে সহিংসতার ঘটনায় ২০ জুলাই বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়।
এছাড়া, পাঠানটুলা পুলিশ বক্সে পুড়ানোর ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়। জালালাবাদ থানা ঘেরাও এর ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা করা হয়।
উপরোক্ত তিনটি মামলা ২০ জুলাই দায়ের করে পুলিশ। সর্বশেষ গত সোমবার দিবাগত রাতে কুমারওগাঁও বিদ্যুৎ অফিসে হামলার ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।