ইন্টারনেট গত পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। আপাতত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল হলেও শুরুতে সবাই ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন না। আবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দিয়েও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ এসব স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
যদিও মোবাইল ইন্টারনেট দ্রুতই চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বুধবার (২৪ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, প্রথমে সরকারি হাসপাতাল, ওয়াসা, ডেসকো এবং ব্যাংকগুলোতে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিভিন্ন গণমাধ্যমের অফিস, বাণিজ্যিক এলাকা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্টারনেট দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সেবার আওতাধীন এলাকার পরিধি বাড়ানো হবে।
এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট এখনো বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম অপারেটর গ্রামীণফোন বলছে, ইন্টারনেট চালুর জন্য সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে তারা।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যেই মিডিয়াতে তার বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছি।