সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মহানগর ১৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এম সাগর হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০ মিনিট চলা সংঘর্ষের পর পুলিশের ধাওয়ায় ছাত্র ও যুবদল নেতাকর্মীরা ছত্রভ্ঙ্গ হয়ে যায়।
সংঘর্ষের সময় এসময় বন্দর ও জিন্দাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দ্রুত শাটার লাগিয়ে দোকানের ভেতরে অবস্থান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে বন্দরবাজার এলাকার মহাজনপট্টি ও হকার্স মার্কেটের গলি থেকে ছাত্রদল-যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে কামরান চত্বরে এসে পুলিশ মোতায়েন দেখে তাদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন নেতাকর্মীরা। এসময় মহানগর পুলিশের টিম সিআরটি ঘটনাস্থলে এসে মিছিলকারীদের দিকে ফাঁকা গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। প্রায় ২০ মিনিট ব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশ ও ৬ নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে মহানগর ১৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এম সাগর হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
একপর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সংঘর্ষের সময় বন্দর ও জিন্দাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা মার্কেটের গেট দোকানের শাটার লাগিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেন এবং পথচারী দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করেন।
বিকাল ৩টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে বন্দরবাজারে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) বলেন- কিছু লোক নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিহত করেছি। এসময় ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য সামান্য হয়েছেন। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।