দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ মানুষ বিবাহিত। এর মধ্যে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ রাজশাহী বিভাগে। অন্যদিকে এ জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের মানুষ বিদেশে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেশি। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে গড়তে সময় পার হয়ে যায়। কারণ সবাই চান প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে। তাই অবিবাহিতের সংখ্যা সিলেটে বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩’র বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দেশের ১২ হাজারেরও বেশি এলাকার প্রায় দুই লাখ ৯৯ হাজার পরিবারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবিবাহিত পুরুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, প্রায় ৪৫ শতাংশ। অপরদিকে রাজশাহী বিভাগে অবিবাহিত পুরুষ সবচেয়ে কম, ৩১ শতাংশ। পাশাপাশি সিলেট বিভাগে অবিবাহিত নারী সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজশাহীতে এ হার সবচেয়ে কম ১৮ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, নারীর চেয়ে পুরুষের একাধিক বিয়ের হারও বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ পুরুষ একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। বিপরীতে এক শতাংশের বেশি নারী একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। পাশাপাশি বিপত্নীক হিসেবে এক শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ একা জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে, প্রায় ৯ শতাংশ নারী বিধবা হিসেবে জীবনযাপন করছেন।
বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে বিবাহিত জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ।
বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।