খুলনার রায়েরমহল এলাকার খলিলুর রহমান। তিনি ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ডেসপাচ রাইডার। ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা সিআইডির প্রশ্নফাঁসের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তিনি চাকরি পেতে সহায়তা করেছেন তিন থেকে চারশ’ জনকে।
খলিলুর এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তিনি ঢাকায় বাড়িও কিনেছেন। তবে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত বরিশালের লিটন সরকার, বগুড়ার নিয়ামুল ও মামুনুরের স্বজনরা দাবি করছেন, ষড়যন্ত্রের শিকার তারা। প্রশ্নফাঁসের ঘটনা সামনে নিয়ে আসা চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বরাতে খবরে বলা হয়েছে, বিসিএস ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছিলেন খলিলুর। এক যুগে তিনি তিন থেকে ৪০০ জনকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছেন। এভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি পৈত্রিক জমিতে বাড়ি করেছেন। ৩ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন।
এদিকে ধারদেনা করে বরিশালের আগৈলঝাড়ার লিটন সরকারকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করিয়েছে পরিবার। তার বাবা-মায়ের আশা ছিল, চাকরি নিয়ে সংসারের হাল ধরবে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করাতেন চাকরি প্রত্যাশীদের।
আর বগুড়ার গাবতলীতে আধা পাকা বাড়ি রয়েছে নিয়ামুল হাসানের। আর তেমন সম্পদ নেই বলে দাবি স্বজনদের। স্থানীয়দের ভাষ্য, অনিয়মের কারণে পিএসসির চাকরি গেলে তিনি টেকনিশিয়ান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে যোগ দেন।
অপরদিকে একই উপজেলার মামুনুর রশিদের গ্রামে তেমন যাতায়াত নেই। তবে বেশ কিছু সম্পত্তি আছে তার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীসহ সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।