Sylhet ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন নিয়ে ফেইচবুকে ১০ নির্দেশনা

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ৫৫

 

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে একদফা দাবি আদায়ে আন্দোলন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি ১০ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।

শনিবার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে ১০ নির্দেশনা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

পোস্টে বলা হয়, ‘যেভাবে আন্দোলন পরিচালনা করবেন-

১.বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, জেলা ও মহানগরে যারা আন্দোলন সমন্বয় করছেন সবাই সংগঠিত হওয়ার জন্য আলাদা করে সমন্বয়ক কমিটি তৈরি করুন। দল, মত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রাখুন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করুন এবং সবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। তবে আন্দোলনের স্বার্থে বিতর্কিত বা রাজনৈতিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে এরকম কাউকে নেতৃত্ব পর্যায়ে রাখবেন না।

২.আন্দোলনকে কোনো একক বা মূল নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল করবেন না। সবসময় বিকল্প নেতৃত্ব প্রস্তুত রাখুন। প্রথম দিকের নেতৃত্বে ওপর ঝামেলা হলেও আন্দোলন স্তিমিত হবে না। নেতৃত্বে নতুন চেহারা আনার চেষ্টা করুন।

৩. ইন্টার্নালি সংগঠিত থাকুন, কিন্তু আন্দোলনকে কোনো সাংগঠনিক রূপ দিবেন না। কমিটিটা শুধু শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ত চরিত্র যাতে বজায় থাকে। তবে কোনো পক্ষ অনুপ্রবেশ করে যাতে স্যাবোটেজ করতে না পারে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। আন্দোলন সব সময় শান্তিপূর্ণ ও অহিংস হবে।

৪. যে স্থানে কর্মসূচি করবেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে কো-অপারেট করুন। কিন্তু সব সিদ্ধান্ত আপনারাই নেবেন। কোনো ধরনের আপস করা যাবে না।

৫. সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করার চেষ্টা করুন। জেলা বা মহানগরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করুন এবং একসঙ্গে বড় জমায়েত করার চেষ্টা করুন।

৬. কারো ওপর কোনো আঘাত বা হুমকি আসলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করুন। ভয় পাবেন না, পিছিয়ে যাবেন না। সামনে এসে কথা বলুন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। আমাদের দাবি ও বক্তব্য সুস্পষ্ট এবং যৌক্তিক।

৭. বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যুক্ত করুন। কর্মসূচিতে সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখুন। জেলা ও মহানগরের নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কর্মসূচির আগে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক গণসংযোগ করুন। হলের রুমে রুমে, লাইব্রেরিতে প্রচার করুন।

৮. মিডিয়া ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন। মিডিয়ার সামনে বুঝে শুনে কথা বলুন, যাতে মূল বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে। প্রোগ্রামে ও মিডিয়ায় আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এরকম বক্তব্য বা স্লোগান দেবেন না।

৯. ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি রাখার চেষ্টা করুন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানার যারা ব্যবহার করবেন তারা অবশ্যই ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন।

১০. অর্থ সংগ্রহের জন্য সরাসরি ক্রাউড ফান্ডিং করুন। কোনো অনলাইন মিডিয়াম ব্যবহার করবেন না। অর্থের নিয়মিত হিসাব রাখুন এবং সমন্বয়ক টিমের কাছে হিসাব ক্লিয়ার (স্বচ্ছ) রাখুন। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নেবেন না। কারো কাছ থেকে বেশি অঙ্কের টাকা নেবেন না। রাজনৈতিক স্বার্থ আছে এরকম কারো কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা নেবেন না।

উল্লেখ্য, শনিবার অনলাইন ও অফলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি বৈঠক করছেন সমন্বয়করা।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জগন্নাথপুর যুব জমিয়তের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি শপথ অনুষ্ঠিত

কোটা আন্দোলন নিয়ে ফেইচবুকে ১০ নির্দেশনা

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

 

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে একদফা দাবি আদায়ে আন্দোলন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি ১০ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।

শনিবার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে ১০ নির্দেশনা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

পোস্টে বলা হয়, ‘যেভাবে আন্দোলন পরিচালনা করবেন-

১.বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, জেলা ও মহানগরে যারা আন্দোলন সমন্বয় করছেন সবাই সংগঠিত হওয়ার জন্য আলাদা করে সমন্বয়ক কমিটি তৈরি করুন। দল, মত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রাখুন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করুন এবং সবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। তবে আন্দোলনের স্বার্থে বিতর্কিত বা রাজনৈতিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে এরকম কাউকে নেতৃত্ব পর্যায়ে রাখবেন না।

২.আন্দোলনকে কোনো একক বা মূল নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল করবেন না। সবসময় বিকল্প নেতৃত্ব প্রস্তুত রাখুন। প্রথম দিকের নেতৃত্বে ওপর ঝামেলা হলেও আন্দোলন স্তিমিত হবে না। নেতৃত্বে নতুন চেহারা আনার চেষ্টা করুন।

৩. ইন্টার্নালি সংগঠিত থাকুন, কিন্তু আন্দোলনকে কোনো সাংগঠনিক রূপ দিবেন না। কমিটিটা শুধু শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ত চরিত্র যাতে বজায় থাকে। তবে কোনো পক্ষ অনুপ্রবেশ করে যাতে স্যাবোটেজ করতে না পারে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। আন্দোলন সব সময় শান্তিপূর্ণ ও অহিংস হবে।

৪. যে স্থানে কর্মসূচি করবেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে কো-অপারেট করুন। কিন্তু সব সিদ্ধান্ত আপনারাই নেবেন। কোনো ধরনের আপস করা যাবে না।

৫. সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করার চেষ্টা করুন। জেলা বা মহানগরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করুন এবং একসঙ্গে বড় জমায়েত করার চেষ্টা করুন।

৬. কারো ওপর কোনো আঘাত বা হুমকি আসলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করুন। ভয় পাবেন না, পিছিয়ে যাবেন না। সামনে এসে কথা বলুন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। আমাদের দাবি ও বক্তব্য সুস্পষ্ট এবং যৌক্তিক।

৭. বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যুক্ত করুন। কর্মসূচিতে সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখুন। জেলা ও মহানগরের নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কর্মসূচির আগে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক গণসংযোগ করুন। হলের রুমে রুমে, লাইব্রেরিতে প্রচার করুন।

৮. মিডিয়া ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন। মিডিয়ার সামনে বুঝে শুনে কথা বলুন, যাতে মূল বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে। প্রোগ্রামে ও মিডিয়ায় আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এরকম বক্তব্য বা স্লোগান দেবেন না।

৯. ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি রাখার চেষ্টা করুন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানার যারা ব্যবহার করবেন তারা অবশ্যই ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন।

১০. অর্থ সংগ্রহের জন্য সরাসরি ক্রাউড ফান্ডিং করুন। কোনো অনলাইন মিডিয়াম ব্যবহার করবেন না। অর্থের নিয়মিত হিসাব রাখুন এবং সমন্বয়ক টিমের কাছে হিসাব ক্লিয়ার (স্বচ্ছ) রাখুন। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নেবেন না। কারো কাছ থেকে বেশি অঙ্কের টাকা নেবেন না। রাজনৈতিক স্বার্থ আছে এরকম কারো কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা নেবেন না।

উল্লেখ্য, শনিবার অনলাইন ও অফলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি বৈঠক করছেন সমন্বয়করা।