Sylhet ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যান চলাচল বন্ধ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর—সুনামগঞ্জ সড়ক পানির নীচে

গত তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের বানের পানিতে তাহিরপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানির নীচে পড়েছে। এতে করে এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবে একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারছেন না। তাহিরপুর—সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর—বালিজুড়ি রাস্তা, শক্তিয়ারখলা  ১০০ মিটার রাস্তা ও লালপুর সড়কটি ৩ ফুট পানির নীচে পড়েছে। এ রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন নৌকায়, পায়ে হেঁটে এবং বিকল্প যানবাহনে চলাচল করছে।
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা বাজারের পশ্চিম অংশের রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলের তোড়ে যে কোন সময় ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
আগামী ৩ জুলাই বুধবার ষষ্ঠ শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল জানান, ব্রাহ্মণগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়, মোয়াজ্জেমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কলাগাঁও চারাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর আশপাশ এলাকার রাস্তাঘাট ও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাতে পানি উঠেছে। এমতাবস্থায় ৩ জুলাই কিভাবে তারা সমন্বয় পরীক্ষা নিবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলার পাতারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায় বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পাতারগাঁও, রসুলপুর, বালিজুড়ি নতুন হাটি, লক্ষীপুর, আনন্দনগর, আমবাড়ি, সোনাপুর কামনাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাতে দুই থেকে তিন ফুট পানি উঠেছে।
লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমর ভৌমিক বলেন, বিদ্যালয় ৩ ফুট পানির নীচে রয়েছে। এমতাবস্থায় ৩ জুলাই বিদ্যালয় খুলে পাঠদান নেয়া যাবে না বলেও তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপজেলার আমাদের কারো হাত নেই। যে সমস্ত বিদ্যলয়গুলো বানের পানিতে আক্রান্ত হয়েছে, সেগুলোতে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। যে সমস্ত বিদ্যালয় বানের পানিতে আক্রান্ত হয় নি সেগুলোতে মূল্যায়ন পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভিন বলেন, উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। সবগুলো বন্যাশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বন্যা সহায়তাকারী নৌকা ঘাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী উপজেলাতে মজুদ রয়েছে।

#সুনামগঞ্জের খবর

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ‌পুলিশের হাতে দুই চিনি চোরাকারবারি গ্রেফতার

যান চলাচল বন্ধ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর—সুনামগঞ্জ সড়ক পানির নীচে

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

গত তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের বানের পানিতে তাহিরপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানির নীচে পড়েছে। এতে করে এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবে একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারছেন না। তাহিরপুর—সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর—বালিজুড়ি রাস্তা, শক্তিয়ারখলা  ১০০ মিটার রাস্তা ও লালপুর সড়কটি ৩ ফুট পানির নীচে পড়েছে। এ রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন নৌকায়, পায়ে হেঁটে এবং বিকল্প যানবাহনে চলাচল করছে।
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা বাজারের পশ্চিম অংশের রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলের তোড়ে যে কোন সময় ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
আগামী ৩ জুলাই বুধবার ষষ্ঠ শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল জানান, ব্রাহ্মণগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়, মোয়াজ্জেমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কলাগাঁও চারাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর আশপাশ এলাকার রাস্তাঘাট ও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাতে পানি উঠেছে। এমতাবস্থায় ৩ জুলাই কিভাবে তারা সমন্বয় পরীক্ষা নিবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলার পাতারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায় বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পাতারগাঁও, রসুলপুর, বালিজুড়ি নতুন হাটি, লক্ষীপুর, আনন্দনগর, আমবাড়ি, সোনাপুর কামনাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাতে দুই থেকে তিন ফুট পানি উঠেছে।
লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমর ভৌমিক বলেন, বিদ্যালয় ৩ ফুট পানির নীচে রয়েছে। এমতাবস্থায় ৩ জুলাই বিদ্যালয় খুলে পাঠদান নেয়া যাবে না বলেও তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপজেলার আমাদের কারো হাত নেই। যে সমস্ত বিদ্যলয়গুলো বানের পানিতে আক্রান্ত হয়েছে, সেগুলোতে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। যে সমস্ত বিদ্যালয় বানের পানিতে আক্রান্ত হয় নি সেগুলোতে মূল্যায়ন পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভিন বলেন, উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। সবগুলো বন্যাশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বন্যা সহায়তাকারী নৌকা ঘাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী উপজেলাতে মজুদ রয়েছে।

#সুনামগঞ্জের খবর