Sylhet ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের অনুসন্ধানে এনবিআরের ফয়সালের ৭০০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট!

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • ৬২

 বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা জমা হওয়া এবং পরে তার বড় অংশ উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে।

দুদকের পক্ষে থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, ফয়সাল তাঁর অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলেছিলেন। এর মধ্যে দুদক ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে। বাকি হিসাবের তথ্যের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, ফয়সালের শুশুর আহমেদ আলী একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তাঁর শাশুড়ী মমতাজ বেগম পেশায় একজন গৃহিণী।

দুদক বলেছে, ফয়সাল নিজের এবং তাঁর স্ত্রীর নামের পাশাপাশি আত্মীয়দের নামে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ রেখেছেন। শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়।

দুদকের তথ্য অনুসারে, ফয়সাল ও তাঁর ১১ আত্মীয়ে নামে ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে।

ফয়সাল ২০০৫ সালে বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে এনবিআরের আয়কর বিভাগের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হিসেবে কাজ করছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর দুদক ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

সংস্থাটি প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফয়সাল ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠার একটি প্লট জব্দ এবং ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

ইসলামী ব্যাংক জগন্নাথপুরের চিলাউড়া-হলদিপুর শাখার অনুমোদন

দুদকের অনুসন্ধানে এনবিআরের ফয়সালের ৭০০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট!

প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

 বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা জমা হওয়া এবং পরে তার বড় অংশ উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে।

দুদকের পক্ষে থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, ফয়সাল তাঁর অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলেছিলেন। এর মধ্যে দুদক ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে। বাকি হিসাবের তথ্যের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, ফয়সালের শুশুর আহমেদ আলী একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তাঁর শাশুড়ী মমতাজ বেগম পেশায় একজন গৃহিণী।

দুদক বলেছে, ফয়সাল নিজের এবং তাঁর স্ত্রীর নামের পাশাপাশি আত্মীয়দের নামে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ রেখেছেন। শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়।

দুদকের তথ্য অনুসারে, ফয়সাল ও তাঁর ১১ আত্মীয়ে নামে ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে।

ফয়সাল ২০০৫ সালে বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে এনবিআরের আয়কর বিভাগের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হিসেবে কাজ করছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর দুদক ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

সংস্থাটি প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফয়সাল ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠার একটি প্লট জব্দ এবং ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন