অফিসে বসে তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। বেশিরভাগ সময় তার এক হাতে থাকে সিগারেট, অন্য হাতে করেন অফিসিয়াল ফাইলে স্বাক্ষর। তোয়াক্কা করেন না কাউকে।
এভাবেই চলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কুলাউড়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের প্রতিদিনকার কাজ। অথচ সরকারিবিধি অনুযায়ী, পাবলিক প্লেসে ধূমপান আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যানবাহন, জনসমাগমস্থল এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসে প্রকাশ্যে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকার ধূমপানরোধে আইন প্রণয়ন করলেও সরকারি অফিসে বসেই এই কর্মকর্তা করছেন আয়েশি ধূমপান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কাজে প্রায়ই এলজিইডির কর্মকর্তার কক্ষে যেতে হয়। সেখানে অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান ওই কর্মকর্তা। তার একহাতে থাকে সিগারেট, অন্যহাতে থাকে ফাইল। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কিংবা অবস্থান করা কষ্টকর। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেন, তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান অপরাধ কী না? এমন প্রশ্নেরও কোনো সদুত্তর দেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজিত কুমার চন্দ বলেন, আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষেধ। এ ছাড়া অফিসে বসে কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকাশ্যে ধূমপান করতে পারেন না। অফিসে ধূমপান করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। খোঁজ নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান। এলজিইডির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ জানান, সরকারি অফিসে বসে সেবাগ্রহীতাদের সামনে ধূমপানের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।