Sylhet ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোয়ারা বাজারের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ২৫ গ্রাম প্লাবিত

দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ২৫টি গ্রাম। শনিবার সকালে খাসিয়ামারা নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

তিন দিন ধরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সুরমা, চেলা, চলতি, মরা  চেলা, খাসিয়ামারা, মৌলা, কালিউরি, ধূমখালিসহ অনেক নদীর পানি বৃদ্ধি পায়।

খাসিয়ামারা নদীর নোয়াপাড়া বক্তারপুর চৌকিরঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল পানির স্রোতে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। হঠাৎ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয়দের ঘরবাড়ি, গরু-ছাগল রাস্তাঘাটের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। বিকালের দিকে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। বৃষ্টিপাত না হলে দ্রুত পানি কমে যাবে। তবে কয়েক ঘণ্টার ঢলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আম্বিয়া আহমদ বলেন, ‘সকাল ৮ থেকে ১১টা পর্যন্ত খাসিয়ামারা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। পানির প্রবল স্রোতে খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এখন পুরো এলাকা থেকে পনি নেমে গেছে। তাই কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জনপ্রিয় সংবাদ

দোয়ারা বাজারের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ২৫ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ২৫টি গ্রাম। শনিবার সকালে খাসিয়ামারা নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

তিন দিন ধরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সুরমা, চেলা, চলতি, মরা  চেলা, খাসিয়ামারা, মৌলা, কালিউরি, ধূমখালিসহ অনেক নদীর পানি বৃদ্ধি পায়।

খাসিয়ামারা নদীর নোয়াপাড়া বক্তারপুর চৌকিরঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল পানির স্রোতে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। হঠাৎ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয়দের ঘরবাড়ি, গরু-ছাগল রাস্তাঘাটের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। বিকালের দিকে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। বৃষ্টিপাত না হলে দ্রুত পানি কমে যাবে। তবে কয়েক ঘণ্টার ঢলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আম্বিয়া আহমদ বলেন, ‘সকাল ৮ থেকে ১১টা পর্যন্ত খাসিয়ামারা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। পানির প্রবল স্রোতে খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এখন পুরো এলাকা থেকে পনি নেমে গেছে। তাই কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’