Sylhet ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে ২২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে পানিবন্দী ২০ হাজার mfbsN

সিলেটে মধ্যরাতে ভারি বর্ষণ ও সুরমা নদীর পানি বাড়ায়  নগরীতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট নগরীর পানি বন্দি মানুষ।

 

রবিবার দিবাগত (২ জুন) রাত  সাড়ে ১২ থেকে  সোমবার ভোর পর্যন্ত

২২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কারনে নগরের ১৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে কয়েকটি প্রধান রাস্তা।

সকালে (৩ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,সুরমা আবাসিক এলাকা, তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, কুশিঘাট, উপশহর, তালতলা,বিলপাড় ও জামতলা এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। তালতলা এলাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনেও পানি ঢুকেছে। বাসায় পানি ঢুকে পড়ায় অনেকের আসবাবপত্র ভেসে গেছে। পানি ক্রমাগত বাড়ায় অনেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লক, জরুরী বিভাগ,রক্ত সঞ্চালন বিভাগ ও  লিফটে পানি প্রবেশ করায় রোগিরা ভোগান্তিতে পড়ছে।

সিলেট নগরীর উপশহরের বাসিন্ধা জিলু মিয়া বলেন, আমাদের বাসায় হাটু পানি,সকাল থেকে চুলায় আগুন জ্বালাতে না পারায় খাবার খেতে পারিনী। আমরাসহ আশেপাশের পানি বন্দী।

নগরীর সুরমা গেইট এলাকার বাসিন্ধা শাহনুর জানান,রাস্তায় পানি উঠার  কারণে স্কূল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। জরুরী কাজে পানিতে ভিজে বাহির হতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গত ২৯ মে থেকে সিলেটের গোয়াইঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ ছাড়াও বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হন। দুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, সিলেট মহানগরীতেও দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার অবস্থান করছে বলে জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর। তিনি বলেন- তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে ।

 

 

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ‌পুলিশের হাতে দুই চিনি চোরাকারবারি গ্রেফতার

সিলেটে ২২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে পানিবন্দী ২০ হাজার mfbsN

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

সিলেটে মধ্যরাতে ভারি বর্ষণ ও সুরমা নদীর পানি বাড়ায়  নগরীতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট নগরীর পানি বন্দি মানুষ।

 

রবিবার দিবাগত (২ জুন) রাত  সাড়ে ১২ থেকে  সোমবার ভোর পর্যন্ত

২২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কারনে নগরের ১৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে কয়েকটি প্রধান রাস্তা।

সকালে (৩ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,সুরমা আবাসিক এলাকা, তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, কুশিঘাট, উপশহর, তালতলা,বিলপাড় ও জামতলা এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। তালতলা এলাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনেও পানি ঢুকেছে। বাসায় পানি ঢুকে পড়ায় অনেকের আসবাবপত্র ভেসে গেছে। পানি ক্রমাগত বাড়ায় অনেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লক, জরুরী বিভাগ,রক্ত সঞ্চালন বিভাগ ও  লিফটে পানি প্রবেশ করায় রোগিরা ভোগান্তিতে পড়ছে।

সিলেট নগরীর উপশহরের বাসিন্ধা জিলু মিয়া বলেন, আমাদের বাসায় হাটু পানি,সকাল থেকে চুলায় আগুন জ্বালাতে না পারায় খাবার খেতে পারিনী। আমরাসহ আশেপাশের পানি বন্দী।

নগরীর সুরমা গেইট এলাকার বাসিন্ধা শাহনুর জানান,রাস্তায় পানি উঠার  কারণে স্কূল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। জরুরী কাজে পানিতে ভিজে বাহির হতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গত ২৯ মে থেকে সিলেটের গোয়াইঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ ছাড়াও বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হন। দুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, সিলেট মহানগরীতেও দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার অবস্থান করছে বলে জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর। তিনি বলেন- তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে ।