Sylhet ১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে বসত বাড়ি, রাস্তা-ঘাট

পাহাড়ি ঢলে সিলেটের কয়েকটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল। বিপাকে পড়ে বাঁচার জন্য আকুতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দিচ্ছেন অনেকেই। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ নানা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন অন্তত তিন লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের উদ্ধার অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী।

জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কসহ ওই চার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক। এতে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সড়কে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার ওপরে ও কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে ২০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদী বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় সারিগোয়াইন নদী ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘২০২২ সালের মে মাসে সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৩৯ মিলিমিটার। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৩৩০ মিলিমিটার এবং ২০২৪ সালের মে মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উপজেলার ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ‌পুলিশের হাতে দুই চিনি চোরাকারবারি গ্রেফতার

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে বসত বাড়ি, রাস্তা-ঘাট

প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

পাহাড়ি ঢলে সিলেটের কয়েকটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল। বিপাকে পড়ে বাঁচার জন্য আকুতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দিচ্ছেন অনেকেই। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ নানা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন অন্তত তিন লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের উদ্ধার অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী।

জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কসহ ওই চার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক। এতে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সড়কে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার ওপরে ও কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে ২০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদী বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় সারিগোয়াইন নদী ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘২০২২ সালের মে মাসে সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৩৯ মিলিমিটার। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৩৩০ মিলিমিটার এবং ২০২৪ সালের মে মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উপজেলার ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।