সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, আমি গ্রামের ছেলে, খড়ের ঘরে আমার জন্ম। গ্রামের কাদামাটি জলের গন্ধ আমার শরীরে এখনো লেগে আছে। আমার নেশা, ভাটি অঞ্চলের কাজ করা। মানুষ আমাকে বার বার সুযোগ দিয়েছে বলেই ভাটির মানুষের অধিকার আদায়ে মহান জাতীয় সংসদের মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে খেটে-খাওয়া মানুষের পক্ষে কথা বলতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী থাকাকালীন চেষ্টা করেছি সুনামগঞ্জের উন্নয়ন করার। যথেষ্ট উন্নয়ন করেছিও। এখনো আমি সংসদে আছি। আরও উন্নয়ন হবে। আমার নির্বাচনী এলাকায় টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন, ব্রিজ-কালভার্টসহ অসংখ্য উন্নয়ন কাজ করেছি।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৪টায় পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন হাজিবাড়ি-খাড়াসাবাড়ির রাস্তার কাজের পরিদর্শন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। সামনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার ছেলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আমাকে ভোট দিয়েছিলেন বলেই আমি আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন করতে পেরেছি। আপনারা যদি মনে করেন, আমার ছেলে দ্বারা আপনাদের উপকার হবে, সে উপজেলার উন্নয়ন করতে পারবে তাহলে আপনারা ভোট দিবেন। তার যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে সুবিবেচনা করার অনুরোধ রইলো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন এম এ মান্নান পুত্র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদাত মান্নান অভি, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. তেরাব আলী।
উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মুক্তাদির হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, সমুজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান আসাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসনাত হোসেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর এপিএস জুয়েল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব উদ্দিন বুদ্ধি, পশ্চিম পাগলা ইউপি সদস্য ফয়জুল হক, জহিরুল ইসলাম জফর, প্রাক্তন ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন, পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্য মো. শাহিন মিয়া, তুয়েল আহমদ, ইউনিয়ন আবদুল আলীম, আওয়ামী লীগ নেতা ছৈয়দুল ইসলাম, নূর মিয়া, যুবলীগ নেতা আফিজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনসুর আলম সুজন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার, সাবেক সদস্য সচিব মো. রাজন হোসেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আজাদ হোসেন, ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া, আলম মিয়া, আবুল হোসেন ও নাইম মিয়া প্রমুখ।