Sylhet ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ সুনামগঞ্জের চার উপজেলার ভোট যুদ্ধ

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • ৫৫

সুনামগঞ্জ জেলার চার উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় ৫৬জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। গ্রীষ্মের তীব্রদাবদাহের মধ্যে প্রচারণা শেষে এখন ভোটযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রহর গুনছেন তারা। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৬ জনের মধ্যে বিজয়ের মালা পরবেন ১২ প্রার্থী।
এদিকে নিরেপক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। ১৮৩টি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছে। চারটি উপজেলায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৬১জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন।

 

 

নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে ভোট উৎসব না হলেও নিরপেক্ষ ভোট হবে। ভোটের কাস্টিংও হবে মোটামুটি ভালো। প্রশাসনও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে। তবে প্রভাবশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাদেরকে প্রতিরোধের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জামালগঞ্জে রেজাউল করিম শামীম, ইকবাল আল আজাদের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তাহিরপুরে আবুল হোসেন খান ও আফতাব উদ্দিনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ধর্মপাশায় শামীম আহমদ মুরাদ ও নাসরিন সুলতানা দিপার মধ্যে হবে ভোটযুদ্ধ। বিশ্বম্ভরপুরে দীলিপ কুমার বর্মণ ও হারুন রশিদের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এই প্রার্থীরাই নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছিলেন প্রচারকালেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ১৮৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টি দুর্গম কেন্দ্র রয়েছে। ভোটের দিন ২৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, কেন্দ্র প্রতি ১৫ জন আনসার ও ৫ জন করে পুলিশ, দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমও আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসন সবধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

 

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিরপেক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুনামগঞ্জ-৩ আসনের জমিয়ত প্রার্থী সৈয়দ তালহা

আজ সুনামগঞ্জের চার উপজেলার ভোট যুদ্ধ

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার চার উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় ৫৬জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। গ্রীষ্মের তীব্রদাবদাহের মধ্যে প্রচারণা শেষে এখন ভোটযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রহর গুনছেন তারা। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৬ জনের মধ্যে বিজয়ের মালা পরবেন ১২ প্রার্থী।
এদিকে নিরেপক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। ১৮৩টি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছে। চারটি উপজেলায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৬১জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন।

 

 

নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে ভোট উৎসব না হলেও নিরপেক্ষ ভোট হবে। ভোটের কাস্টিংও হবে মোটামুটি ভালো। প্রশাসনও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে। তবে প্রভাবশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাদেরকে প্রতিরোধের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জামালগঞ্জে রেজাউল করিম শামীম, ইকবাল আল আজাদের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তাহিরপুরে আবুল হোসেন খান ও আফতাব উদ্দিনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ধর্মপাশায় শামীম আহমদ মুরাদ ও নাসরিন সুলতানা দিপার মধ্যে হবে ভোটযুদ্ধ। বিশ্বম্ভরপুরে দীলিপ কুমার বর্মণ ও হারুন রশিদের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এই প্রার্থীরাই নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছিলেন প্রচারকালেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ১৮৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টি দুর্গম কেন্দ্র রয়েছে। ভোটের দিন ২৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, কেন্দ্র প্রতি ১৫ জন আনসার ও ৫ জন করে পুলিশ, দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমও আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসন সবধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

 

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিরপেক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।