Sylhet ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে দলিল লেখক আমজাদ হোসেন নয়নকে হত্যার ঘটনায় আটক ৪

লাখাইয়ে দলিল লেখক আমজাদ হোসেন নয়নকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা, ছেলে ও মেয়েসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের কথা জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃত রত্না আক্তারের সাথে সম্পর্কের জের ধরে নয়নকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন ওই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী মোছাঃ জোসনা বেগম (৪৭), মেয়ে রত্না আক্তার (২২), ছেলে ফারুক মিয়া (২৫) ও জোসনা বেগমের ভাই জিরুন্ডা গ্রামে মৃত ছোয়াব আলীর ছেলে মোঃ ইকবাল (৪০)। সন্ধ্যায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন জানান, উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের পাশে একটি হাওরে মাটিচাপা অবস্থায় গত ১১ মে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমে ছবি দেখে তার স্ত্রী মাফিয়া আক্তার ও কয়েকজন আত্মীয় মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন। তারা দাবি করেন উদ্ধার হওয়া মরদেহটি লাখাই সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক শাহ আমজাদ হোসেন নয়নের। তিনি উপজেলার পূর্ব সিংহগ্রাম গ্রামের মৃত শাহ মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ড ছিল। কারণ মরদেহটি পঁচে গলে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দামকে।
পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে মোছাঃ জোসনা বেগম ও তার মেয়ে রত্না আক্তারকে নিজ বাড়ি থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। পরে ছেলে ফারুক মিয়াকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে এবং জোসনা বেগমের ভাই লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের ইকবাল মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে দলিল লেখক আমজাদ হোসেন নয়নকে হত্যার ঘটনায় আটক ৪

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

লাখাইয়ে দলিল লেখক আমজাদ হোসেন নয়নকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা, ছেলে ও মেয়েসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের কথা জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃত রত্না আক্তারের সাথে সম্পর্কের জের ধরে নয়নকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন ওই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী মোছাঃ জোসনা বেগম (৪৭), মেয়ে রত্না আক্তার (২২), ছেলে ফারুক মিয়া (২৫) ও জোসনা বেগমের ভাই জিরুন্ডা গ্রামে মৃত ছোয়াব আলীর ছেলে মোঃ ইকবাল (৪০)। সন্ধ্যায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন জানান, উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের পাশে একটি হাওরে মাটিচাপা অবস্থায় গত ১১ মে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমে ছবি দেখে তার স্ত্রী মাফিয়া আক্তার ও কয়েকজন আত্মীয় মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন। তারা দাবি করেন উদ্ধার হওয়া মরদেহটি লাখাই সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক শাহ আমজাদ হোসেন নয়নের। তিনি উপজেলার পূর্ব সিংহগ্রাম গ্রামের মৃত শাহ মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ড ছিল। কারণ মরদেহটি পঁচে গলে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দামকে।
পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে মোছাঃ জোসনা বেগম ও তার মেয়ে রত্না আক্তারকে নিজ বাড়ি থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। পরে ছেলে ফারুক মিয়াকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে এবং জোসনা বেগমের ভাই লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের ইকবাল মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।