Sylhet ১২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে : সিসিক মেয়র

 

হোল্ডিং ট্যক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের উপর কর নিরূপনক্রমে তালিকা প্রসঙ্গে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা সভা করে ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে ২৭ টি ওয়ার্ডে রিভিউ বোর্ড গঠন করা হবে। পূর্ব নির্ধারিত সময় বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবেদন রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যক্স সহনীয় পর্যায় নির্ধারন করা হবে। এছাড়াও নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের এসেসমেন্ট স্থাগতিরে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে রবিবার (১২ মে) দুপুর ২টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।এর আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় এ নিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সিসক মেয়র জানান।

মেয়র বলেন, চলমান এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট নিয়ে কোন প্রকার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারন নেই। সিলেটের সচেতন নাগরিক ও কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের পরিষদের আলোচনা হয়েছে। সর্ব সম্মতিক্রমে সহনীয় মাত্রায় ট্যাক্স নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

মেয়র জানান, করারোপ নিয়ে যারা আপত্তি করেছেন তাদের আবেদন শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে রিভিউ করা হবে। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণের স্বার্থ প্রাধান্য বিবেচনা করে আমরা কাজ করবো। এখানে কারো প্রতি অবিচার করা হবেনা। যেকোন বিষয় নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে সিসিক। ইতিমধ্যে যারা অভিযোগ ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন তাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে স্বচ্ছতার মাধ্যমে দেখা হবে। সবার সহযোগিতায় এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

তিনি বলেন,অনেক প্রভাবশালীরা কোনদিন কর পরিশোধ করেননি। অনেকে আবার অনেক বছর ধরে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন না আক্ষেপ জানিয়ে মেয়র বলেন এভাবে চললে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন হবে কিভাবে হবে প্রশ্ন রাখেন তিনি। সিলেটের নাগরিদের নিয়ে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সহনীয় মাত্রায় করা নির্ধারন করা হবে। এ বিষয়ে তিনি আবারও নগরবাসীর সহযোগীতা চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯—২০ সালে ফিল্ড সার্ভে করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট পরিষদের বিশেষ সভায় সেটি পাস হয়। কর ধার্য্য সন ধরা হয় ২১—২২ অর্থবছর। মোট ৭৫ হাজার ৪শত ৩০ টি হোল্ডিংয়ে ১ শত তেরো কোটি ২৭ লক্ষ ৭ হাজার ৪ শত ৪৫ টাকা লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়। সেটি অনুমোধনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয় । পরবর্তী ২০২১ সালের ০৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সেটি অনুমোধন করে এরই ধারাবাহিকতায় ।গত ৩০ এপ্রিল এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের উপর কর নিরূপনক্রমে তালিকা প্রকাশ করা হয়। করারোপের উপর তালিকা দেখে আপত্তি জমার শেষ তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল ১৪ মে পর্যন্ত আজ রবিবার পরিষদের সাধারণ সভায় সেটি বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ৯মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের বুথ থেকে তথ্য নিয়েছেন মোট ২৪ হাজার ৪৬৭ জন, আপত্তি ফরম নিয়েছেন ২২ হাজার ৪৪০ জন। মোট বকেয়া আদায় হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।

এর আগে সকাল ১১ টায় সভাকক্ষে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাধারন কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দ এসময় উপস্থিপ ছিলেন।

সুত্র-গনসংযোগ কর্মকর্তা

সিসিক

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে : সিসিক মেয়র

প্রকাশের সময় : ১২:২০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

 

হোল্ডিং ট্যক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের উপর কর নিরূপনক্রমে তালিকা প্রসঙ্গে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা সভা করে ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে ২৭ টি ওয়ার্ডে রিভিউ বোর্ড গঠন করা হবে। পূর্ব নির্ধারিত সময় বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবেদন রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যক্স সহনীয় পর্যায় নির্ধারন করা হবে। এছাড়াও নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের এসেসমেন্ট স্থাগতিরে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে রবিবার (১২ মে) দুপুর ২টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।এর আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় এ নিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সিসক মেয়র জানান।

মেয়র বলেন, চলমান এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট নিয়ে কোন প্রকার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারন নেই। সিলেটের সচেতন নাগরিক ও কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের পরিষদের আলোচনা হয়েছে। সর্ব সম্মতিক্রমে সহনীয় মাত্রায় ট্যাক্স নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

মেয়র জানান, করারোপ নিয়ে যারা আপত্তি করেছেন তাদের আবেদন শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে রিভিউ করা হবে। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণের স্বার্থ প্রাধান্য বিবেচনা করে আমরা কাজ করবো। এখানে কারো প্রতি অবিচার করা হবেনা। যেকোন বিষয় নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে সিসিক। ইতিমধ্যে যারা অভিযোগ ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন তাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে স্বচ্ছতার মাধ্যমে দেখা হবে। সবার সহযোগিতায় এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

তিনি বলেন,অনেক প্রভাবশালীরা কোনদিন কর পরিশোধ করেননি। অনেকে আবার অনেক বছর ধরে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন না আক্ষেপ জানিয়ে মেয়র বলেন এভাবে চললে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন হবে কিভাবে হবে প্রশ্ন রাখেন তিনি। সিলেটের নাগরিদের নিয়ে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সহনীয় মাত্রায় করা নির্ধারন করা হবে। এ বিষয়ে তিনি আবারও নগরবাসীর সহযোগীতা চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯—২০ সালে ফিল্ড সার্ভে করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট পরিষদের বিশেষ সভায় সেটি পাস হয়। কর ধার্য্য সন ধরা হয় ২১—২২ অর্থবছর। মোট ৭৫ হাজার ৪শত ৩০ টি হোল্ডিংয়ে ১ শত তেরো কোটি ২৭ লক্ষ ৭ হাজার ৪ শত ৪৫ টাকা লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়। সেটি অনুমোধনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয় । পরবর্তী ২০২১ সালের ০৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সেটি অনুমোধন করে এরই ধারাবাহিকতায় ।গত ৩০ এপ্রিল এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের উপর কর নিরূপনক্রমে তালিকা প্রকাশ করা হয়। করারোপের উপর তালিকা দেখে আপত্তি জমার শেষ তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল ১৪ মে পর্যন্ত আজ রবিবার পরিষদের সাধারণ সভায় সেটি বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ৯মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের বুথ থেকে তথ্য নিয়েছেন মোট ২৪ হাজার ৪৬৭ জন, আপত্তি ফরম নিয়েছেন ২২ হাজার ৪৪০ জন। মোট বকেয়া আদায় হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।

এর আগে সকাল ১১ টায় সভাকক্ষে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাধারন কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দ এসময় উপস্থিপ ছিলেন।

সুত্র-গনসংযোগ কর্মকর্তা

সিসিক