Sylhet ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাল্লায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে শাল্লায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া—পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল পৌনে দশটার দিকে শাল্লা ইউপির চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এসময় প্রায় আধা ঘন্টা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন করার অভিযোগে এর আগের দিন রাতে একই কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডং সহ চারজনকে আটক করা হয়। জানা যায়, ভোট গ্রহণ শুরু হবার পর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি (বহিস্কৃত) সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার’এর (আনারস) প্রতীকের একজন সমর্থক বারবার ভোটকক্ষে প্রবেশ করছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস’এর (ঘোড়া) প্রতীকের এজেন্ট এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। প্রিজাইডিং অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে আনারস প্রতীকের সমর্থককে সতর্ক করেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা বাক—বিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। চলে প্রায় ১৫—২০ মিনিট। এসময় ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরবতীর্তে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও স্টাইকিং ফৌর্সের হস্তক্ষেপে আধাঘন্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সজীব হাওলাদার বলেন, ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনারস প্রতীকের সমর্থককে ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। বলা হয়, পরবতীর্তে এরকম করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের জন্য আধাঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও স্টাইকিং ফোর্সের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ও ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শাল্লা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছিল চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। ভোটের আগের রাতে ঐ কেন্দ্রে অন্য একটি কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজন ভোট কর্মীকে এক প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন ও টাকা বিতরণ করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আটকের পর তার জায়গায় রাতেই নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দিরাই—শাল্লা উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, রাতে টাকা বিতরণের সময় তাদেরকে পুলিশ আটক করে। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে আছেন। আটককৃত প্রিজাইডিং কর্মকর্তার জায়গায় নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃত নোয়াগাঁও রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার অপু সরকার এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী অবনী মোহন দাসের সমর্থক আব্দুস শহীদ, আব্দুল খালেক ও মো. মোতাব্বির কে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জগন্নাথপুর যুব জমিয়তের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি শপথ অনুষ্ঠিত

শাল্লায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে শাল্লায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া—পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল পৌনে দশটার দিকে শাল্লা ইউপির চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এসময় প্রায় আধা ঘন্টা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন করার অভিযোগে এর আগের দিন রাতে একই কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডং সহ চারজনকে আটক করা হয়। জানা যায়, ভোট গ্রহণ শুরু হবার পর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি (বহিস্কৃত) সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার’এর (আনারস) প্রতীকের একজন সমর্থক বারবার ভোটকক্ষে প্রবেশ করছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস’এর (ঘোড়া) প্রতীকের এজেন্ট এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। প্রিজাইডিং অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে আনারস প্রতীকের সমর্থককে সতর্ক করেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা বাক—বিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। চলে প্রায় ১৫—২০ মিনিট। এসময় ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরবতীর্তে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও স্টাইকিং ফৌর্সের হস্তক্ষেপে আধাঘন্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সজীব হাওলাদার বলেন, ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনারস প্রতীকের সমর্থককে ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। বলা হয়, পরবতীর্তে এরকম করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের জন্য আধাঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও স্টাইকিং ফোর্সের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ও ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শাল্লা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছিল চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। ভোটের আগের রাতে ঐ কেন্দ্রে অন্য একটি কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজন ভোট কর্মীকে এক প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন ও টাকা বিতরণ করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আটকের পর তার জায়গায় রাতেই নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দিরাই—শাল্লা উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, রাতে টাকা বিতরণের সময় তাদেরকে পুলিশ আটক করে। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে আছেন। আটককৃত প্রিজাইডিং কর্মকর্তার জায়গায় নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃত নোয়াগাঁও রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার অপু সরকার এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী অবনী মোহন দাসের সমর্থক আব্দুস শহীদ, আব্দুল খালেক ও মো. মোতাব্বির কে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।