Sylhet ০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি

দোয়ারাবাজারে ব্যাপক শিলা বৃষ্টিতে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ১২টি  গ্রামের অনেক টিনের বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন ঘর—বাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রবিবার বিকালে বৃষ্টির সাথে পড়তে থাকে বড় আকারের শিলা। কোনো কোনো শিলার সাইজ হাঁসের ডিমের চেয়েও বড় ছিল। এতে অনেক গ্রামের ঘরবাড়ির চাল ফুটো হয়ে যায়। উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাঁশতলা, ঝুমগাঁও, পেকপাড়া  বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলোনি গ্রামের মাহমুদ আলী বলেন, শিলা পড়ে টিনের চালে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে তিন থেকে চারশ গ্রাম ওজনের শিলাও পড়তে থাকে। অনেকের ঘরের ভেতরের মালামাল নষ্ট হয়েছে।
বাঁশতলা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া (৮০) বলেন, আমার বয়সে কোনদিন এতো বড় শিলা দেখিনি। পাথরের আকারের মতো এক একটা শিলা।
হকনগর বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার ভূইয়া বলেন, টিন দিয়ে তৈরি বাজারের প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মালামাল ভিজে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাবাজার  ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভূইয়া ও ধন মিয়া বলেন, শিলা বৃষ্টিতে বাঁশতলা অঞ্চলের সব চিনের ঘর ছিদ্র হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর থেকে এখন আকাশ দেখা যাচ্ছে। ওইসব ঘর একেবারেই বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসাইন বলেন, রবিবারের শিলা বৃষ্টিতে প্রায় সহস্রাধিক টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।  আকষ্মিক এ শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ওসির সোর্স সেই যুবলীগ নেতা দুই সহোদরসহ কারাগারে

দোয়ারাবাজারে শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

দোয়ারাবাজারে ব্যাপক শিলা বৃষ্টিতে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ১২টি  গ্রামের অনেক টিনের বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন ঘর—বাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রবিবার বিকালে বৃষ্টির সাথে পড়তে থাকে বড় আকারের শিলা। কোনো কোনো শিলার সাইজ হাঁসের ডিমের চেয়েও বড় ছিল। এতে অনেক গ্রামের ঘরবাড়ির চাল ফুটো হয়ে যায়। উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাঁশতলা, ঝুমগাঁও, পেকপাড়া  বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলোনি গ্রামের মাহমুদ আলী বলেন, শিলা পড়ে টিনের চালে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে তিন থেকে চারশ গ্রাম ওজনের শিলাও পড়তে থাকে। অনেকের ঘরের ভেতরের মালামাল নষ্ট হয়েছে।
বাঁশতলা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া (৮০) বলেন, আমার বয়সে কোনদিন এতো বড় শিলা দেখিনি। পাথরের আকারের মতো এক একটা শিলা।
হকনগর বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার ভূইয়া বলেন, টিন দিয়ে তৈরি বাজারের প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মালামাল ভিজে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাবাজার  ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভূইয়া ও ধন মিয়া বলেন, শিলা বৃষ্টিতে বাঁশতলা অঞ্চলের সব চিনের ঘর ছিদ্র হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর থেকে এখন আকাশ দেখা যাচ্ছে। ওইসব ঘর একেবারেই বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসাইন বলেন, রবিবারের শিলা বৃষ্টিতে প্রায় সহস্রাধিক টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।  আকষ্মিক এ শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষ।