আগামী শনিবারও (৪ মে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্তে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতারা। ছুটি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সমিতির নেতারা। বৃহস্পতিবার (২ মে) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এক ধরনের টালবাহানা চলছে, যা হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
এদিকে যথারীতি শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের। যদিও পরে কয়েকটি জেলায় মাধ্যমিকে ক্লাস বন্ধ থাকার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
শনিবার ক্লাস চালুর বিষয়ে শিক্ষকরা বলেন, কোনো দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও এমন হয়েছে। এ কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তারা আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত ছাড়া কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠসংশ্লিষ্ট ‘বাড়ির কাজ’ সম্পন্ন করতে পারেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চিকিৎসা নেয়া, আত্মীয়র বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়া হয়। ছুটি নিয়ে আচমকা সিদ্ধান্ত নেয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছে।
নেতারা অভিযোগ, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, অথচ সে দিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
নেতারা অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখা এবং বিগত দিনের কেড়ে নেয়া নির্ধারিত ছুটিগুলো সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।