Sylhet ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন— আরিফুল ইসলাম ও মইদুল। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালে পাঁচজনে।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়।

দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাদের। সেখানেই রোববার ভোরে মারা যান তারা।

আরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। আর মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খাঁ। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা নামে একজনের মৃত্যু হয়। পর দিন শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা নামে এক শিশু ও ভোরে মনসুর নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে হবে-উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন— আরিফুল ইসলাম ও মইদুল। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালে পাঁচজনে।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়।

দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাদের। সেখানেই রোববার ভোরে মারা যান তারা।

আরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। আর মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খাঁ। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা নামে একজনের মৃত্যু হয়। পর দিন শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা নামে এক শিশু ও ভোরে মনসুর নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।