পুশিল সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জমশিদ পেশায় একজন ট্রাক চালক। আর ভুক্তভোগী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার একটি হাইস্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। প্রায় ২ মাস আগে ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ১৫ এপ্রিল সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে কৌশলে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর রুমে ঢুকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত মা ও বড় ভাই বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন।
পরে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর আত্মীয় স্বজনরা বিষয়টি সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নির্মল চন্দ্র দেবকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে সালুটিকর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত জমশিদ মিয়াকে আটক করেন।
এদিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জমশিদ মিয়া ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি রুমে ঢুকে তার মাথায় হাত বুলিয়ে ফিরে এসেছি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।