শিশুদের ঈদ আনন্দ নিরেট । তারা আবেগ লুকিয়ে রাখতে পারে না । চারপাশের পরিবেশ এক সময় তাকে বড় হতে গিয়ে শিখিয়ে দেয় – আবেগ নিয়ন্ত্রনই মানুষের সামাজিক দক্ষতা , মানুষের পরিপক্বতা । আমরা আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে হয়ত নিজেদের শিশু সত্তাকেই দূরে ঠেলে রাখি। অথচ আমরা ভুলে যাই – আমাদের সবার মাঝেই আবেগ যুক্ত এক শিশু খেলা করে সময়-অসময়ে । কিছু আনন্দ , কিছু দু:খ কেবলই আমাদের নিজের ।
আমার ঈদ আনন্দের বড় অংশজুড়ে আছে ভাইয়ার দুই ছেলে – মেয়েকে ( রাফাত – রাইফা ) ঘিরে । ছবিতে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে আরো দুই মিষ্টি বান্ধবী – নুহা ও ফারিয়া । সবারই মেহেদী রাঙা হাতে আইসক্রিম । ঈদে আমরা গ্রামের বাজারে যাই আর হরেক রকম জিনিশ কিনি । কিছু দোকানিরা মেলার মত খেলনা দিয়ে পসরা সাজায় । গ্রাম্য বাজার যেন ছোটখাটো মেলায় রূপ নেয়। দোকানির পসরার চারদিকে ঘিরে থাকে অনেক শিশু । কিছু খেলনা তারা কিনে , কিছু খেলনা বেশ দামি তাই বড় হয়ে কিনবে বলে রেখে দেয় । তাদের ছোট ছোট চোখে স্বপ্ন বিশাল , নিষ্পাপ স্বপ্নগুলো কত বাঁধাহীন ! ঈদ মানে চোখ জুড়ে রঙিন স্বপ্ন বুনা । তারা স্বপ্ন দেখে – একদিন অনেক বড় হবে, যত বড় হলে বাজারের সব খেলনা কিনে ঘরে আনতে পারবে । আমি তাদের চোখে আমার স্বপ্নকেও বিশাল আর রঙিন করি। আমি শিশু হই , বাঁধাহীন আবেগে ভাসি। এমন ঈদ আসুক বছর ঘুরে বারে বার।
লেখা: এড.সজীব মাহমুদ
টেংরাটিলা,দোয়ারা বাজার,সুনামগঞ্জ ।