Sylhet ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আমিরকে

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের মুদি দোকানি আমির উদ্দিনকে (৫০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। মূলত ডিজেল কেনা-বেচা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই আমির উদ্দিনকে খুন করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে আলোচিত হত্যাকা-টি নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাজন কুমার দাস।
ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে রাজন কুমার দাস বলেন, সদর থানার মঈনপুর গ্রামের মুদি দোকানদার আমির উদ্দিনকে (৫০) গত ৩০ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে দোকানে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় আমির উদ্দিনের স্ত্রী বাদি হয়ে গত ৩১ মার্চ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. আনিসুর রহমান আসামিদের শনাক্ত করাসহ তাদের গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মঈনপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মজনু মিয়া (২৬) এবং দোয়ারাবাজার থানার ভোজনা উমরপুর গ্রামের ফকির শাহের ছেলে রমজানকে (১৩) গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত কিশোর রমজান হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে হত্যাকা-ের পরিকল্পনাসহ হত্যাকা-ের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত আসামি জাহিদুল ইসলামকে গত ৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মঈনপুর এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাজন কুমার দাস জানান, ভিকটিম আমির উদ্দিন তার মুদি দোকানে ডিজেল বিক্রি করতেন। ডিজেল কেনা-বেচা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিদের সাথে আমির উদ্দিনের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এতে আসামিরা আমির উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটা থেকে সোয়া ৩টার মধ্যবর্তী সময় আসামিরা দোকানে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আমির উদ্দিনের গলায় আঘাত করে হত্যা করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ চৌধুরীসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আমিরকে

প্রকাশের সময় : ০৪:০০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের মুদি দোকানি আমির উদ্দিনকে (৫০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। মূলত ডিজেল কেনা-বেচা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই আমির উদ্দিনকে খুন করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে আলোচিত হত্যাকা-টি নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাজন কুমার দাস।
ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে রাজন কুমার দাস বলেন, সদর থানার মঈনপুর গ্রামের মুদি দোকানদার আমির উদ্দিনকে (৫০) গত ৩০ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে দোকানে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় আমির উদ্দিনের স্ত্রী বাদি হয়ে গত ৩১ মার্চ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. আনিসুর রহমান আসামিদের শনাক্ত করাসহ তাদের গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মঈনপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মজনু মিয়া (২৬) এবং দোয়ারাবাজার থানার ভোজনা উমরপুর গ্রামের ফকির শাহের ছেলে রমজানকে (১৩) গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত কিশোর রমজান হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে হত্যাকা-ের পরিকল্পনাসহ হত্যাকা-ের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত আসামি জাহিদুল ইসলামকে গত ৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মঈনপুর এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাজন কুমার দাস জানান, ভিকটিম আমির উদ্দিন তার মুদি দোকানে ডিজেল বিক্রি করতেন। ডিজেল কেনা-বেচা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিদের সাথে আমির উদ্দিনের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এতে আসামিরা আমির উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটা থেকে সোয়া ৩টার মধ্যবর্তী সময় আসামিরা দোকানে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আমির উদ্দিনের গলায় আঘাত করে হত্যা করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ চৌধুরীসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।