আবুল কাশেম রুমন, সিলেট:
সিলেট থেকে বন্যায় কবলিত এলাকা হতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতেই নানা ধরণের রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়ে জ¦ার কাশি সহ নানা রোগ। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই ফ্লুজাতীয় রোগব্যাধি বেড়ে যায়। বর্তমানে প্রায়ই পরিবারে সর্দি, কাশি, জ্বরে ভুগছে।
বিশেষ করে সিলেটের জৈন্তিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও সিলেট নগীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যায় পানি বন্ধী থাকলে পানি কমতেই দেখা দিয়েছে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, চোখের সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, লেপটেস্পাইরোসিস, পেটের সংক্রমণ ইত্যাদি রোগ। আবার যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তাদের জন্যও বেশ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। ভাইরাল ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, বা পরজীবী প্রাদুর্ভাব থেকে ডায়রিয়ার মত জীবাণুগুলো সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি সংকটের মধ্যে এসব রোগবালাইতে আক্রান্ত অনেক।
বন্যায় কবলিত এলাকাগুলোতে বেশির ভাগ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জা,ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া,টাইফয়েড,গ্যাসট্রোএনটেরাইটিস, হেপাটাইটিস, লেপ্টোস্পাইরোসিস এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভানা থাকে।
এর ব্যাপারে সিলেট সিভিল সার্জনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, যে উপজেলাগুলো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সে সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলো রোগীদের চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা এব্যাপারে সর্তকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন মাঠে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমাদের দুটি টিম কাজ করছে। তবে এই বন্যায় মানুষ সেরকম ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন না। অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন আর আমরাও ওষুধ দিয়ে আসছি। প্রতিদিনই আমাদের এই কার্যক্রম চলছে। বন্যা শেষে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন রোগে। সেটার জন্যও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।