Sylhet ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে খেলাকে কেন্দ্র করে দু,গুষ্টির সংঘর্ষে আহত শতাধিক

বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মাস্টার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম ও মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাকালে একটি পক্ষ সিগারেট খেয়ে তার ধোঁয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাস্টার বাড়ির আলমগীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপে পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ এবং শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার (৩০), আব্দুল শহিদ (৪৫),  জাবেদ মিয়া (৩০),  আল মামুন (৩০), নাজিমুদ্দিন (৩০), সফিক মিয়া (৩৫), এসআই আবু জাবের (৪৪), রবিউল হাসান (১৯), শিমুল (২৫), মিজবাহুল হাসান (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮),  রাজু মিয়া (৩৬), শরীফুল মিয়া (২৮),  আনোয়ার (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৬), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), শামসুর রহমান (৩৫) ও মিতু মিয়া (২৫) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, ‘কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে মাস্টার বাড়ি ও মোল্লাবাড়ির লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে সিবিএ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস গ্রেফতার

হবিগঞ্জে খেলাকে কেন্দ্র করে দু,গুষ্টির সংঘর্ষে আহত শতাধিক

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মাস্টার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম ও মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাকালে একটি পক্ষ সিগারেট খেয়ে তার ধোঁয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাস্টার বাড়ির আলমগীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপে পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ এবং শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার (৩০), আব্দুল শহিদ (৪৫),  জাবেদ মিয়া (৩০),  আল মামুন (৩০), নাজিমুদ্দিন (৩০), সফিক মিয়া (৩৫), এসআই আবু জাবের (৪৪), রবিউল হাসান (১৯), শিমুল (২৫), মিজবাহুল হাসান (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮),  রাজু মিয়া (৩৬), শরীফুল মিয়া (২৮),  আনোয়ার (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৬), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), শামসুর রহমান (৩৫) ও মিতু মিয়া (২৫) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, ‘কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে মাস্টার বাড়ি ও মোল্লাবাড়ির লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।