সব ধাপ পেরিয়ে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ হয়েছেন
সুনামগঞ্জ জেলা সমবায় অধিদপ্তর কতৃক আয়োজিত ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন সমবায়ীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বন্ধন ক্রিষ্টাল সামগ্রী উৎপাদন কারী মহিলা সমবায় সমিতি লিঃএর সভাপতি মোছাঃ পান্না বেগম জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধপুর গ্রামের বাসিন্দা।সুনামগঞ্জ সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত সমবায় দিবস উপলক্ষে পান্না বেগমকে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। পান্না বেগমের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ পাপিয়া সুলতানা। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া-জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ, বিশেষ অতিথি আ. ফ. ম.আনোয়ার হোসেন খান-পিপিএম,
সভাপতিত্ব করেন জনাব বশির আহমেদ সমবায় কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ।
বন্ধন ক্রিষ্টাল সামগ্রী উৎপাদন কারী মহিলা সমবায় সমিতি লিঃএর সভাপতি মোছাঃ পান্না বেগম আমি ডিগ্রি ফার্স্ট ইয়ারে লেখাপড়া করছি, লেখা পড়ার পাশাপাশি বন্ধন ক্রিষ্টাল সামগ্রী উৎপাদনের কাজ শিখেছি, আমার এলাকার হতদন্ত লোকদের কাজ শিখাচ্ছে, অনেকে কাজ শিখে পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে সংসার করছে।।
বন্ধন ক্রিষ্টাল সামগ্রী উৎপাদন কারী মহিলা সমবায় সমিতি লিঃএর প্রতিষ্ঠা সভাপতি আশরাফুল হক বলেন পান্না বেগম লেখাপড়ার পাশাপাশি বন্ধন ক্রিষ্টাল সামগ্রী উৎপাদনে কাজ ভালো করে সুনাম অর্জুন করেছে, এলাকার হতদরিদ্র মেয়েদের কেউ বন্ধন ক্রিষ্টাল সামগ্রী উৎপাদনের কাজ শিখাচ্ছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় জগন্নাথপুর বাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন।।
পেশার প্রতি দায়িত্বশীলতা, নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাধারা, পিছিয়ে পড়া বেকারত্ব মেয়েদের বিশেষ যত্ন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান ও চর্চায় বিশেষ অবদান রাখায় তাঁকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।
প্রথমে নিজ উপজেলা, এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শেষে সেরা নির্বাচিত হয়ে এবার দেশসেরার দৌড়ে গ্রামীন জনপদের এ নারী পান্না বেগম।
প্রতিবছর জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ , শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতির , শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে দেশসেরাদের নির্বাচিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পান্না ২০০০২ সালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবরুজ মিয়া ও মাতা রাহেলা বেগম। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পান্না বেগম দ্বিতীয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ডিগ্রী ফার্স্ট ইয়ারে লেখাপড়া করছেন
পান্না বেগমের এই অর্জনে গর্বিত তাঁর পরিবার, নিজ এলাকা, প্রতিষ্ঠানের ও কমিটির সদস্যরা। বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাঁর শুভাকাঙ্খিরা।
জগন্নাথপুর উপজেলা সমবায় অফিসার রাজ মনি সিংহ বলেন এই অর্জন পান্না বেগমের নয়, জগনাথপুর উপজেলা বাঁসীর, বেকারত্ব ছেলে বা মেয়েরা এগিয়ে আসলে কর্মসংস্থান আর বৃদ্ধি পাবে। সমবায় সমিতি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।