সিলেট নগরীতে ‘জাল টাকা’সহ গ্রেপ্তার পুলিশের এক কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর সুবিধবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন।
এ ঘটনায় এপিবিএন-৭ সিলেটের এসআই মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার মো. মহিদুল হক ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ঘোলঘাই গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের আগে অন্য আরেকটি অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “কনস্টেবল মহিদুল হক সাময়িক বরখাস্ত ও নজরদারিতে থাকা অবস্থায় পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত চলছিল। এর মধ্যে আবার নতুন ঘটনা ঘটাল। এখন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে গোপন খবরে জানা যায়, কোরবানির পশু কেনা বেচায় জাল টাকা ব্যবহারের উদ্দেশে নগরীর সুবিধবাজার মোড়ে কিছু লোক জড়ো হয়েছেন। পরে এপিবিএনয়ের সদস্যরা সুবিধবাজারে ইবিএল ব্যাংকের সামনে গেলে মহিবুল পালানোর চেষ্টা করেন।
“এ সময় তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়। তিনি নিজেকে সিলেট মহানগর পুলিশের কনস্টেবল বলে দাবি করেন। পরে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের ডান পকেট থেকে ৫০০ টাকার একটি বান্ডিল পাওয়া যায়; যার মধ্যে ৯২ হাজার টাকা জাল।
“এ ছাড়া তার প্যান্টের বাম পাশের পকেটে ২০০ টাকার বান্ডিল পাওয়া যায়; যার মধ্যে ২৯ হাজার ৬০০ টাকা জাল। তার কাছে ১০০ টাকার আরেকটি বান্ডিল যাওয়া যায়; যার মধ্যে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা জাল। জব্দ করা প্রতিটি নোটে লাল কালিতে ‘খেলনা টাকার নমুনা’ লেখা আছে।”
সব মিলিয়ে মহিবুলের কাছ থেকে এক লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট জব্দ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বুধবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মঈন উদ্দিন শিপন।