Sylhet ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট ছড়ারপারে কিশোর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
  • ৫৫৩

সিলেট মহানগরের ছড়ারপারে কিশোর মো. আলী নিশা (১৭) হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এ হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত মামলার আসামি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি রয়েছে। গ্রেফতারের পর এ ৪ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেল নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকেন। এদের মধ্যে ফরহাদ মামলার মূল আসামি। শনিবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি রবিবার (৫ মে) বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান। খুন হওয়া মো. আলী নিশা (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে সিলেট মহানগরের ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে বসবাস করতো। শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিনজন বন্ধু মো. আলীকে চালিবন্দরের পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তার উপর ওই ৩ বন্ধুসহ আরও কয়েকজন মিলে হামলা চালায়। এসময় মো. আলী দৌঁড়ে আত্মরার চেষ্টা চালায়। চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সে পড়ে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, মহানগরের ছড়ারপাড় ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হয় মো. আলী। ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জগন্নাথপুর যুব জমিয়তের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি শপথ অনুষ্ঠিত

সিলেট ছড়ারপারে কিশোর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

সিলেট মহানগরের ছড়ারপারে কিশোর মো. আলী নিশা (১৭) হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এ হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত মামলার আসামি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি রয়েছে। গ্রেফতারের পর এ ৪ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেল নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকেন। এদের মধ্যে ফরহাদ মামলার মূল আসামি। শনিবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি রবিবার (৫ মে) বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান। খুন হওয়া মো. আলী নিশা (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে সিলেট মহানগরের ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে বসবাস করতো। শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিনজন বন্ধু মো. আলীকে চালিবন্দরের পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তার উপর ওই ৩ বন্ধুসহ আরও কয়েকজন মিলে হামলা চালায়। এসময় মো. আলী দৌঁড়ে আত্মরার চেষ্টা চালায়। চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সে পড়ে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, মহানগরের ছড়ারপাড় ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হয় মো. আলী। ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।