Sylhet ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বন্যার্তদের রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছে সিসিক

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • ৯৫
 বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি সিলেট মহানগরীও এখন বলতে গেলে জলের তলে। দুর্গত হাজার হাজার মানুষ। তারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। অন্তত ২৮টি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। এ অবস্থায় নগরভবনে শুরু হয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। চলছে রান্নাবান্না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা বানভাসীদের জন্য মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশনায় চলছে এমন তৎপরতা।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়রুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। পারিবারিক একটা জরুরী কাজে তিনি সেখানে গেলেও সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন নগরভবন এবং ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ কাউন্সিলরদের সাথে। দিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। ইতিপূর্বে বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে জরুরী সভা। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন। দেখছেন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের দুর্দশা।

তাদের মধ্যে প্রতিদিনই শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আজ সোমবার রাত থেকে বন্যার্তদের রান্না করা খাবার খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিসিক। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নগরভবনের সামনে একদিকে খাবার তৈরি হচ্ছিল, আবার অন্যদিকে প্রস্তুত খাবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেক ও সিসিক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

এদিকে আবার বানভাসি কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে খাবারও চাইতে পারছেন না, এমন পরিবারের সদস্যদের সিসিক’র কন্ট্রোল রুমে ০১৯৫৮২৮৪৮০০ নম্বরে যোগাযোগ করলে গোপনেই তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর  রহমান কামরান।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নির্দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আমরা দুই বেলা প্রায় ১০ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার খাওয়াবো। পাশাপাশি শুকনো খাবার বিতরণও অব্যাহত থাকবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, বর্তমানে নগরীর বন্যা আক্রান্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বন্যার্তদের রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছে সিসিক

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
 বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি সিলেট মহানগরীও এখন বলতে গেলে জলের তলে। দুর্গত হাজার হাজার মানুষ। তারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। অন্তত ২৮টি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। এ অবস্থায় নগরভবনে শুরু হয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। চলছে রান্নাবান্না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা বানভাসীদের জন্য মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশনায় চলছে এমন তৎপরতা।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়রুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। পারিবারিক একটা জরুরী কাজে তিনি সেখানে গেলেও সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন নগরভবন এবং ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ কাউন্সিলরদের সাথে। দিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। ইতিপূর্বে বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে জরুরী সভা। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন। দেখছেন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের দুর্দশা।

তাদের মধ্যে প্রতিদিনই শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আজ সোমবার রাত থেকে বন্যার্তদের রান্না করা খাবার খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিসিক। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নগরভবনের সামনে একদিকে খাবার তৈরি হচ্ছিল, আবার অন্যদিকে প্রস্তুত খাবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেক ও সিসিক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

এদিকে আবার বানভাসি কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে খাবারও চাইতে পারছেন না, এমন পরিবারের সদস্যদের সিসিক’র কন্ট্রোল রুমে ০১৯৫৮২৮৪৮০০ নম্বরে যোগাযোগ করলে গোপনেই তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর  রহমান কামরান।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নির্দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আমরা দুই বেলা প্রায় ১০ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার খাওয়াবো। পাশাপাশি শুকনো খাবার বিতরণও অব্যাহত থাকবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, বর্তমানে নগরীর বন্যা আক্রান্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।