Sylhet ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে দুই গ্যাসকূপ খননে বরাদ্দ প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ৪৮

 গ্যাস কূপ খননে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় এ কূপ খননের অনুমোদন দেয়া হয়। কূপ দুটি হলো সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ (অনুসন্ধান কূপ)। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন কূপ দুটি খনন করবে চীনা কোম্পানি সিনোপেক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান এক ব্রিফিংয়ে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। বৈঠকে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘মাস্টার সেলস অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট’ আছে—এমন কোনো দেশ থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করা হবে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ২১টি কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিল ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে এই কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৫৬ ডলার, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৯৭ ডলার।’

এছাড়া সৌদি আরব ও রাশিয়া থেকে ডিএপি ও এমওপি সার কেনা, এডিবি, এএফডি, জিইএফ এবং জিওবির অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-আরপিডব্লিউ ১.২-এর ক্রয় প্রস্তাব এবং গাবতলী সিটি পল্লতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় সংশোধিত) চারটি ভ্যারিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে দুই গ্যাসকূপ খননে বরাদ্দ প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

 গ্যাস কূপ খননে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় এ কূপ খননের অনুমোদন দেয়া হয়। কূপ দুটি হলো সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ (অনুসন্ধান কূপ)। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন কূপ দুটি খনন করবে চীনা কোম্পানি সিনোপেক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান এক ব্রিফিংয়ে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। বৈঠকে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘মাস্টার সেলস অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট’ আছে—এমন কোনো দেশ থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করা হবে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ২১টি কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিল ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে এই কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৫৬ ডলার, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৯৭ ডলার।’

এছাড়া সৌদি আরব ও রাশিয়া থেকে ডিএপি ও এমওপি সার কেনা, এডিবি, এএফডি, জিইএফ এবং জিওবির অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-আরপিডব্লিউ ১.২-এর ক্রয় প্রস্তাব এবং গাবতলী সিটি পল্লতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় সংশোধিত) চারটি ভ্যারিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।