সিলেটে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ৭জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- ৯। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২৫ আসনের ৫৪টি টিকেট উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো.মোমিনুল হক এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো.আরিফ (৩২), সজল কান্তি চন্দ (৬০), আরিফুল ইসলাম (১৯), রাজিব কুমার দাস (৪৫), মো.স্বপন মিয়া(৪২), মো.ইব্রাহিম ইসলাম রিফাত (২৪), মোহাম্মদ সাগর (৩৫)।
এরমধ্যে সজল কান্তি চন্দের (৬০) বিরুদ্ধে টিকেট কালোবাজারিসহ ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানান র্যাবের মিডিয়া উইং কমান্ডার মো.মোমিনুল হক।
তিনি বলেন, সিলেটে ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বেশ কয়েকটি টিকেট কালোবাজারি চক্র সক্রিয় ছিলো । তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট ক্রয় করে চড়া দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছে। সাধারণ জনগণ অনেক সময়ই অধিক মূল্যে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে ট্রেনের কালোবাজারিদের গ্রেফতারে র্যাব-৯ সিলেট গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই কালোবাজারি চক্র বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। তারা বিভিন্ন এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকেট ক্রয় করে এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সেগুলো ট্রেনের টিকেট প্রত্যাশীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে। গ্রেফতারের সময় তাদের নিকট থেকে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তারিখ ও সময়ের ১২৫ টি আসনের ৫৪ টি অনলাইন টিকেট জব্দ করা হয়।
মোমিনুল হক বলেন, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গ্রেফতারকৃত কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামী ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং যে কোন পর্যায়ের কালোবাজারির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।