সরেজমিনে দেখা যায়, মৌসুমি পশুর হাট নগরের বিভিন্ন এলাকায় বসেছে। এগুলোকে প্রশাসন অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন। জানা গেছে, এসব পশুর হাটের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের।
সিলেটের প্রধান পশুর হাট কাজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে কোরবানির পশু ঢুকতে শুরু করেছে। এই বাজারের প্রধান আকর্ষণ কালো পাহাড় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গরু। গরুটিকে দেখতে ক্রেতা থেকে শুরু করে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। অন্যদিকে কালো পাহাড়ের মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা। ক্রেতারা কেউ বলছেন, সাত লাখ টাকা আবার কেউ ১০ লাখ টাকা করে দাম কষাকষি করছেন।
গরুটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউবা গরুটিকে ভিডিও করে রাখছেন আবার কেউবা ভিডিও কলের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের দেখাচ্ছেন গরুটি।
গরুটির মালিক হানিফ রহমান কালবেলাকে বলেন, আমার ফার্মের গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বড় করা। কৃত্রিম কোনো পন্থা ছাড়াই আমি গরু মোটাতাজা করেছি। আর বর্তমানে পশু খাদ্যের দাম বেশি থাকায় গরুর দামও বেশি। আমার এই গরুটির দাম ৩০ লাখ টাকা। ক্রেতারা সাত থেকে ১০ লাখ টাকা দাম করছেন। আশা করি, কাল অথবা পরশু আরও ক্রেতা সমাগম ঘটবে এবং গরুগুলোও বিক্রি করতে পারব।
ক্রেতা শরিফ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, গরুর দাম বেশি, ৭০ হাজার টাকার গরু ১ লাখ টাকা বলছেন। আমরা গরু কিনতে আসছি। কিন্তু বিক্রেতারা দাম ছাড়তে চাচ্ছে না। দেখি বাজার ঘুরে কিনতে পারি কি না।
ক্রেতা সুমন মিয়া কালবেলাকে বলেন, বাজারে গরুর দাম বেশি। যে গরু ৮০ হাজারে পাওয়া যায় সে গরু দেড় লাখ ২ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি।
ছাগল বিক্রেতা খছরু মিয়া বলেন, বাজারে ক্রেতা আছে কিন্তু ১৫ হাজার টাকার ছাগল ১০ হাজার টাকা দাম করছেন। আমরা তো আর লসে বিক্রি করতে পারি না।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সিলেট বিভাগে এবার কোরবানির পশু ৩৬ হাজার ১৪৬টি। এবার সিলেট বিভাগে বেড়েছে পশুর উৎপাদন। কোরবানির পশুর সংকট নেই। পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টির বিপরীতে বিভাগজুড়ে প্রস্তুত ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি রয়েছে।
প্রান্তিক পশুপালনকারীদের বাদ দিয়ে তালিকা হলেও এবার সিলেট বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর ঘাটতি নেই।
এ ছাড়াও ৩টি স্থায়ী পশুর হাটে চলবে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। আজ শুক্রবার প্রথম দিন থেকেই জমে উঠতে শুরু করেছে এসব হাটে পশু বেচাকেনা।
প্রথম দিনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের দাবি, পশুর দাম বেশি চাচ্ছেন পাইকারেরা। অন্যদিকে পাইকারদের দাবি, কোরবানির পশুর ক্রেতা থাকলেও দাম কম। তুলনায় হাটে ক্রেতা কম, তাই আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না।
সুত্র-কালবেলা