সিলেটের ওসমানীনগরে চোরাচালানের চিনি ও অবৈধ পণ্যভর্তি ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে বিএনপির দুই নেতাসহ ছয় ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওসমানীনগরের সীমান্তবর্তী সাদিপুর সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক দুই নেতা হলেন সিলেট মহানগর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান। এ ছাড়া সিলেট সদর উপজেলার বটেশ্বরের মলাইটিলার মনির আহমদ, জৈন্তাপুরের বাঘেরখালের তোফায়েল আহমদ ও শাহীন আহমদ এবং গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর তৃতীয়খণ্ডের নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দুটি মাইক্রোবাস, দুটি মোটরসাইকেল ও চিনিভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গতকাল রাতেই সোলেমান হোসেন ও আবদুল মান্নানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিফতাহ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। তারা যে–ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তার অংশ হিসেবে ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে দুজনকে গতকাল রাতেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে একটি ট্রাকে করে চোরাচালানের ভারতীয় চিনি ওসমানীনগরের দিকে নেওয়া হচ্ছিল। ট্রাকটির পেছনে একটি মাইক্রোবাসে ছিলেন এসব অবৈধ চিনির মালিক। পথে দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে আরও একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল ট্রাকটির পিছু নেয়। রাত আড়াইটার দিকে ওসমানীনগরের সাদিপুর সেতুসংলগ্ন এলাকায় ট্রাকটির গতিরোধ করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষের কয়েকজনকে আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চিনি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করে এবং ওই ছয় ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
সিলেটের ওসমানীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একটি পক্ষ চিনির মালিক এবং অপর পক্ষ চিনি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা ভারতীয় চিনি পরিমাপ করা হয়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।