Sylhet ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসী হামলায় গোলাপগঞ্জের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

 গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় এক যুবকের অবস্থা আশষ্কাজনক। আহত যুবকের নাম সোয়েব আহমদ (২৪)। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামে। আহত সোয়েব আহমদ, সাহাব উদ্দিনের এক মাত্র পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে, ২১ অক্টোবর ২৪ইং (সোমবার) বুধবারী বাজার ইউয়িনের বণগ্রামে বেলা ১২ টায় দিকে। জানা যায়, আহত সোয়েব আহমদের নানার বাড়ি বণগ্রামে, তার মায়ের সাথে বেড়াতে যায় নানার বাড়ি। ওই দিন অনুমান বেলা ১২ টার দিকে গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রাহিম আহমদ তাকে ডাকে নিয়ে সিগারেট খাওয়ার জন্য মেস লাইট দেওয়ার জন্য বলে। সোয়েব জানায়, সে সিগারেট খায় না এবং তার কাছে কোন মেস লাইট নেই। সোয়েবের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা রাহিম আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এতে সোয়েব এর প্রতিবাদ করলে রাহিম ও তার দুই ভাই রেজা,হাকিম ভেদড়ক সোয়েব কে পেটাতে থাকে। তার আর্ত চিৎকারে আশ পাশের লোক জন ছুঁটে আসলে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট শহরে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করলে সোয়েবের অভিভাবকগন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে ভর্তি করেন। আহত সোয়েব আহমদের অবস্থা আশষ্কাজনক, পুরো শরীরে লিলা ফুলা ও জখম রয়েছে, বুকের ভেতরে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার ফলে ডান হাত ও ডান পা সব সময় কম্পনের মধ্যে রয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এ রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাংসবেশীর ভেতরে রক্তের জমাট বেধে রয়েছে, বুকের এক  পাশে রক্তের চাকা কালো আকৃতিতে জমাট বেধে থাকায় হাত ও পায়ে কম্পন হচ্ছে চিকিৎসা চলছে ঠিক হতে সময় লাগবে।
তবে এর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাহিম ও হাকিমের পরিবার গ্রামের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে গ্রামের মানুষের উপর জুলুম ও নির্যাতন করেছে। আরোও অভিযোগে জানান, এরা মাদক ও হেরোইন আসক্ত। এলাকায় এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার পরিকল্পনা, ধর্ষণ, চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জগন্নাথপুর যুব জমিয়তের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি শপথ অনুষ্ঠিত

সন্ত্রাসী হামলায় গোলাপগঞ্জের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
 গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় এক যুবকের অবস্থা আশষ্কাজনক। আহত যুবকের নাম সোয়েব আহমদ (২৪)। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামে। আহত সোয়েব আহমদ, সাহাব উদ্দিনের এক মাত্র পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে, ২১ অক্টোবর ২৪ইং (সোমবার) বুধবারী বাজার ইউয়িনের বণগ্রামে বেলা ১২ টায় দিকে। জানা যায়, আহত সোয়েব আহমদের নানার বাড়ি বণগ্রামে, তার মায়ের সাথে বেড়াতে যায় নানার বাড়ি। ওই দিন অনুমান বেলা ১২ টার দিকে গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রাহিম আহমদ তাকে ডাকে নিয়ে সিগারেট খাওয়ার জন্য মেস লাইট দেওয়ার জন্য বলে। সোয়েব জানায়, সে সিগারেট খায় না এবং তার কাছে কোন মেস লাইট নেই। সোয়েবের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা রাহিম আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এতে সোয়েব এর প্রতিবাদ করলে রাহিম ও তার দুই ভাই রেজা,হাকিম ভেদড়ক সোয়েব কে পেটাতে থাকে। তার আর্ত চিৎকারে আশ পাশের লোক জন ছুঁটে আসলে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট শহরে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করলে সোয়েবের অভিভাবকগন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে ভর্তি করেন। আহত সোয়েব আহমদের অবস্থা আশষ্কাজনক, পুরো শরীরে লিলা ফুলা ও জখম রয়েছে, বুকের ভেতরে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার ফলে ডান হাত ও ডান পা সব সময় কম্পনের মধ্যে রয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এ রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাংসবেশীর ভেতরে রক্তের জমাট বেধে রয়েছে, বুকের এক  পাশে রক্তের চাকা কালো আকৃতিতে জমাট বেধে থাকায় হাত ও পায়ে কম্পন হচ্ছে চিকিৎসা চলছে ঠিক হতে সময় লাগবে।
তবে এর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাহিম ও হাকিমের পরিবার গ্রামের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে গ্রামের মানুষের উপর জুলুম ও নির্যাতন করেছে। আরোও অভিযোগে জানান, এরা মাদক ও হেরোইন আসক্ত। এলাকায় এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার পরিকল্পনা, ধর্ষণ, চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।