শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা না হলেও একপক্ষের ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের পশ্চিমের মসজিদের সামনে একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে রেদুয়ান আহমদ ও মৃত আবদুর রহমানের ছেলে আবদুল অদুদের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় রেদুয়ানের পক্ষের আহতরা হলেন- ফয়জুর রহমানের ছেলে সেলিম আহমদ, মৃত ইছব আলীর ছেলে আতাউর রহমান, হাফিজুর রহমান, লুৎফুর রহমান, লুৎফুর রহমানের মেয়ে নাইমা বেগম, ফয়জুর রহমানের স্ত্রী তাজর বিবি, আতাউর রহমানের ছেলে রেজুয়ান হোসেন, রবিন হোসেন, ইছমত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, আবদুল জলিলের ছেলে এনামুল হক, হেলাল হোসেন, চমক আলীর ছেলে আকিল হোসেন, আবদুল জব্বারের ছেলে লিমন মিয়া, মৃত তহুর আলীর ছেলে আবদুল গনি, আবদুর রউফ, মৃত শফিক খা’র ছেলে নাজিম খা, মাসুদ খা ও আছার উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন। অপরদিকে আবদুল অদুদের পক্ষের আহতরা হলেন- একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আবদুল অদুদ, খয়ার মিয়া, মহি উদ্দিন, আবদুস সোবহান, সেলিম আহমদ, হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমানসহ ১০/১২ জন।
আটককৃতরা হলেন- আবদুল অদুদের পক্ষের ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মেহার উদ্দিনের ছেলে মিলন মিয়া (৩৫) ও নারমামনের ছেলে চাঁন্দ আলী (৩৮)।
আবদুল অদুদের পক্ষে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মুরব্বি মো. নূর মিয়া বলেন, আদনান ও তার গোষ্ঠীর লোকজন একটি মার্ডার করে এতোদিন পলাতক ছিলো। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গ্রামে ফিরে এসে আবারো দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করেছে। তাদের লোকজনই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এই গ্রামের আদনান আহমেদ বলেন, একটি সংঘর্ঘে গত বছর তাদের গোষ্ঠীর একজন লোক অনাকাক্সিক্ষত ভাবে মারা গিয়েছিলেন। সেই মামলায় জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছি। এখন তারা এই হত্যাকা-ের প্রতিশোধ নিতে যেচে যেচে আমাদের লোকদের সাথে লাগতে আসেন। আমাদের প্রায় ২০ জন লোক আহত। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন মারামারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছি। কোনো পক্ষই এখনো মামলা দায়ের করেনি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আদনান হোসেনের পক্ষ ও নূর মিয়া পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে জুনু মিয়া নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।