Sylhet ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

  • ভিশন ডেস্ক ::
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ৬০
র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। বুধবার (২৪ এপ্রিল, ২০২৪) তিনি বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার নেন। এর ফলে তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশে ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ নেন।২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দীর্ঘ এক বছর তিন মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের আভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলামের দায়িত্ব পালনকালে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকাবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম-সেবা, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড হতে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেলে (পিসিজিএম) ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন পেয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডিরেকশনের ওপর স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

র‌্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। বুধবার (২৪ এপ্রিল, ২০২৪) তিনি বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার নেন। এর ফলে তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশে ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ নেন।২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দীর্ঘ এক বছর তিন মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের আভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলামের দায়িত্ব পালনকালে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকাবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম-সেবা, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড হতে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেলে (পিসিজিএম) ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন পেয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডিরেকশনের ওপর স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার।