‘ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)’কে নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথের এক স্কুল শিক্ষক কর্তৃক সোস্যাল মিডিয়ায় কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৭ টায় পৌর শহরে হাজারও মুসলিম জনতা এ কর্মসূচি পালন করে। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাসিয়া সেতু উপর অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভাস্থলে এসে শেষ হয়।
এর আগে পৌর শহরের রামসুন্দর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক একে আজাদের ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় বিকেলে নিজ নামীয় আইডি থেকে তিনি সকলের কাছে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে লাইভে এসেও ক্ষমা চান তিনি। তার এমন কর্মকান্ডে নিন্দার ঝড় ওঠে ফেসবুকে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে অভিযুক্ত শিক্ষক আজাদকে দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান তারা।
সভায় বক্তারা কটুক্তিকারী শিক্ষক আজাদকে রোববার (১২ মে) সকালের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচী দিবেন বলেও হুশিয়ারি দেন তারা। পাশাপাশি ‘রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে তাকে বরখাস্ত করার জোরদাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে ‘দর্শনের স্কুল’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুফে মহানবী (স.) ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে একাধিক কটুক্তিমূলক মন্তব্য করেন। যার স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে। এক পর্যায়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে গা ঢাকা দেন ওই শিক্ষক।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি