Sylhet ১১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া কলেজ ছাত্র ইমনের মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া কলেজ ছাত্র ইমনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে আহত হন ইমন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার তার মৃত্যু হয় বলে সমন্বয়করা জানিয়েছেন।

ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।

তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। 

গত ৪ আগস্ট বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইমন গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

ইমন চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। পিতার মৃত্যুর পর সংসার চালানো ও নিজের লেখাপড়া এবং ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়ার খরচ বহনের দায়িত্ব পরে তার ওপর। প্রাইভেট পড়িয়ে এই খরচ মেটাতে হতো ইমনকে।

 

আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী ও পরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার সকালে ইমন মারা যায়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

নিরীহ কারও নামে মামলা হলে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার: আইজিপি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া কলেজ ছাত্র ইমনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৫:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া কলেজ ছাত্র ইমনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে আহত হন ইমন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার তার মৃত্যু হয় বলে সমন্বয়করা জানিয়েছেন।

ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।

তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। 

গত ৪ আগস্ট বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইমন গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

ইমন চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। পিতার মৃত্যুর পর সংসার চালানো ও নিজের লেখাপড়া এবং ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়ার খরচ বহনের দায়িত্ব পরে তার ওপর। প্রাইভেট পড়িয়ে এই খরচ মেটাতে হতো ইমনকে।

 

আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী ও পরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার সকালে ইমন মারা যায়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।