Sylhet ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজার নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল অভিযান চালিয়েছে।

 

বুধবার দুপুরে সিলেট দুদকের ৩ সদস্যের এই দলটি দাপ্তরিক নানা অনিয়মের তদন্ত করে।

সম্প্রতি গগণমাধ্যম ‘বিয়ানীবাজারে এনআইডি সংশোধনে দুর্ভোগ, নির্বাচন অফিসে দুর্নীতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে দুদকের এই অভিযান বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, দুদকের তদন্ত দলের সদস্যরা বিয়ানীবাজার নির্বাচন অফিসে এনআইডি সংশোধনে আবেদন করা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা নির্বাচন অফিস সরজমিন পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখতে পান। তারা নির্বাচন অফিসের কর্মচারীদের লিখিত বক্তব্য নেন।

 

দুদক দলের কাছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি এডভোকেট মো. আমান উদ্দিন নির্বাচন অফিসের নানা অনিয়ম, ভুক্তভোগী মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন। পরে দুদক কর্মকর্তারা নির্বাচন অফিসের হাজিরা খাতা ও গত ১৫ দিনের এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য জব্দ করে নিয়ে যান।

সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ওঠছে, জাতীয় পরিচয় সংশোধনের ক্ষেত্রে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরেও সংশোধন করা সম্ভব হচ্ছে না। একের পর এক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করার পরও ব্যর্থ হচ্ছেন  সেবাপ্রার্থীরা।

উপায় না পেয়ে ‘ভিন্নপথ’ অবলম্বন করলে সহজেই তা সংশোধন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এমনকি তথ্যগত ভুলের জন্য আবেদনকারীরা তা বাতিলের জন্যও সংশ্লিষ্টদের দপ্তরে হয়রানির শিকার হতে হয়। যদিও নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, সঠিক কাগজপত্র না থাকায় সংশোধনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই। এ নিয়ে সবচেয়ে  বেশি বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা। সংক্ষিপ্ত ছুটি নিয়ে যারা আসেন, তারা কাগজপত্র সরবরাহ করতে করতে আবার বিদেশ চলে যান। তাদের কোনো কাজই হয় না। তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ নিতে চাইলেও এনআইডি কার্ডের ভুলে বিপত্তি বাধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচন অফিসে গত কয়েক মাস থেকে এনআইডি নিয়ে অনিয়ম আরও  বেড়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার তপন জ্যোতি দাস অসীম  যোগদানের পর থেকে দুর্নীতিও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।

মূলত, তাকে ম্যানেজ করেই  সেবা আদায় করে নিতে হয় নাগরিকদের।

অভিযোগ আছে, সেবাগ্রহীতাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা কারণে দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি।

 

এ বিষয়ে তপন জ্যোতি বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির খবর সঠিক নয়। অনেকেই সঠিক কাগজপত্র না আনায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হয় না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ানীবাজার নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল অভিযান চালিয়েছে।

 

বুধবার দুপুরে সিলেট দুদকের ৩ সদস্যের এই দলটি দাপ্তরিক নানা অনিয়মের তদন্ত করে।

সম্প্রতি গগণমাধ্যম ‘বিয়ানীবাজারে এনআইডি সংশোধনে দুর্ভোগ, নির্বাচন অফিসে দুর্নীতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে দুদকের এই অভিযান বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, দুদকের তদন্ত দলের সদস্যরা বিয়ানীবাজার নির্বাচন অফিসে এনআইডি সংশোধনে আবেদন করা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা নির্বাচন অফিস সরজমিন পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখতে পান। তারা নির্বাচন অফিসের কর্মচারীদের লিখিত বক্তব্য নেন।

 

দুদক দলের কাছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি এডভোকেট মো. আমান উদ্দিন নির্বাচন অফিসের নানা অনিয়ম, ভুক্তভোগী মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন। পরে দুদক কর্মকর্তারা নির্বাচন অফিসের হাজিরা খাতা ও গত ১৫ দিনের এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য জব্দ করে নিয়ে যান।

সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ওঠছে, জাতীয় পরিচয় সংশোধনের ক্ষেত্রে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরেও সংশোধন করা সম্ভব হচ্ছে না। একের পর এক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করার পরও ব্যর্থ হচ্ছেন  সেবাপ্রার্থীরা।

উপায় না পেয়ে ‘ভিন্নপথ’ অবলম্বন করলে সহজেই তা সংশোধন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এমনকি তথ্যগত ভুলের জন্য আবেদনকারীরা তা বাতিলের জন্যও সংশ্লিষ্টদের দপ্তরে হয়রানির শিকার হতে হয়। যদিও নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, সঠিক কাগজপত্র না থাকায় সংশোধনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই। এ নিয়ে সবচেয়ে  বেশি বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা। সংক্ষিপ্ত ছুটি নিয়ে যারা আসেন, তারা কাগজপত্র সরবরাহ করতে করতে আবার বিদেশ চলে যান। তাদের কোনো কাজই হয় না। তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ নিতে চাইলেও এনআইডি কার্ডের ভুলে বিপত্তি বাধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচন অফিসে গত কয়েক মাস থেকে এনআইডি নিয়ে অনিয়ম আরও  বেড়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার তপন জ্যোতি দাস অসীম  যোগদানের পর থেকে দুর্নীতিও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।

মূলত, তাকে ম্যানেজ করেই  সেবা আদায় করে নিতে হয় নাগরিকদের।

অভিযোগ আছে, সেবাগ্রহীতাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা কারণে দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি।

 

এ বিষয়ে তপন জ্যোতি বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির খবর সঠিক নয়। অনেকেই সঠিক কাগজপত্র না আনায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হয় না।