Sylhet ০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেঞ্চুগঞ্জে চাচার লালসায় শিকার প্রতিবন্ধী ভাতিজি

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কিশোরী পাশবিকতার শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের মানিককোনা গ্রামের। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।

অভিযোগ রয়েছে- প্রতিবন্ধী কিশোরীর প্রতি কুনজর পড়েছিলো তারই চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের। এরপর কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।

জানা যায়, ভিকটিম (১৭)-এর মা বাবা কেউ বেঁচে নেই। ফুফুর কাছে থাকেন। গত বুধবার (১ মে) ওই কিশোরী জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে অভিযোগ করলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে উপস্থিত হন উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইনও।

 

তারা দেখেন- ভিকটিম তার ঘরেই আছে। আটকে রাখার অভিযোগ কেন এই উত্তরে কিশোরীটি বলে- আসলে সে ৭/৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনার দায়ী তার চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম।

ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন জানান, মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিলো তখন তার চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সামনেই ছিলেন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওইসময় তিনি বলেন- এ ঘটনার জন্য তিনি দায়ী নন। ভিকটিমের অন্যান্য আত্মীয় দায়ী।

এ ব্যাপারে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন বলেন, মেয়েটি তার চাচার নাম বলেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি এত দিন তার খালু ও খালাতো ভাইয়ের নাম বলেছে। এখন কোনো ষড়যন্ত্র করে হয়তো আমার নাম বলছে।

তিনি আরো বলেন, মেয়ে তার খালু ও খালাতো ভাইয়ের নামে রাজনগর থানায় অভিযোগও করেছে এ বিষয়ে। এসব ওখানকার ঘটনা, আমি এ ঘটনায় জড়িত নই। রাজনগর থানার অভিযোগ কপি তিনি এনে দেখাবেন বললেও ৩ দিনে তা পারেননি।

পরবর্তীতে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, রাজনগর থানা থেকে অভিযোগ কপি তিনি আনতে পারেননি। কিন্তু কপিটি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেনের কাছে আছে।

সত্যতা জানতে আরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, না এ রকম কপি তার কাছে নেই।

এবিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এএসআই গোলাম মোস্তাফা বলেন, ভিকটিমকে আটকে রাখার অভিযোগে আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে এসব শুনে তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়ে এসেছি।

 

উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন বলেন, আমরা ওই কিশোরীর ফুফুকে তার চিকিৎসা চালাতে বলে এসেছি। প্রয়োজন হলে আমরা আর্থিক সহযোগিতাও করবো।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ওসির সোর্স সেই যুবলীগ নেতা দুই সহোদরসহ কারাগারে

ফেঞ্চুগঞ্জে চাচার লালসায় শিকার প্রতিবন্ধী ভাতিজি

প্রকাশের সময় : ১০:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কিশোরী পাশবিকতার শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের মানিককোনা গ্রামের। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।

অভিযোগ রয়েছে- প্রতিবন্ধী কিশোরীর প্রতি কুনজর পড়েছিলো তারই চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের। এরপর কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।

জানা যায়, ভিকটিম (১৭)-এর মা বাবা কেউ বেঁচে নেই। ফুফুর কাছে থাকেন। গত বুধবার (১ মে) ওই কিশোরী জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে অভিযোগ করলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে উপস্থিত হন উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইনও।

 

তারা দেখেন- ভিকটিম তার ঘরেই আছে। আটকে রাখার অভিযোগ কেন এই উত্তরে কিশোরীটি বলে- আসলে সে ৭/৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনার দায়ী তার চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম।

ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন জানান, মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিলো তখন তার চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সামনেই ছিলেন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওইসময় তিনি বলেন- এ ঘটনার জন্য তিনি দায়ী নন। ভিকটিমের অন্যান্য আত্মীয় দায়ী।

এ ব্যাপারে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন বলেন, মেয়েটি তার চাচার নাম বলেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি এত দিন তার খালু ও খালাতো ভাইয়ের নাম বলেছে। এখন কোনো ষড়যন্ত্র করে হয়তো আমার নাম বলছে।

তিনি আরো বলেন, মেয়ে তার খালু ও খালাতো ভাইয়ের নামে রাজনগর থানায় অভিযোগও করেছে এ বিষয়ে। এসব ওখানকার ঘটনা, আমি এ ঘটনায় জড়িত নই। রাজনগর থানার অভিযোগ কপি তিনি এনে দেখাবেন বললেও ৩ দিনে তা পারেননি।

পরবর্তীতে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, রাজনগর থানা থেকে অভিযোগ কপি তিনি আনতে পারেননি। কিন্তু কপিটি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেনের কাছে আছে।

সত্যতা জানতে আরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, না এ রকম কপি তার কাছে নেই।

এবিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এএসআই গোলাম মোস্তাফা বলেন, ভিকটিমকে আটকে রাখার অভিযোগে আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে এসব শুনে তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়ে এসেছি।

 

উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন বলেন, আমরা ওই কিশোরীর ফুফুকে তার চিকিৎসা চালাতে বলে এসেছি। প্রয়োজন হলে আমরা আর্থিক সহযোগিতাও করবো।